ইউসুফ পাটোয়াই লিংকন:
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন এনডিসি। এসময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাসের হলরুম মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন। পরে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি এবং কাতার আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র -প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রুপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং স্বাধীন জাতির মর্যাদা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের গর্বিত অস্তিত্ব ও বিশ্ব পরিমÐলে আমাদের গৌরবজনক পরিচিতি এ মহান নেতার অবদান।
তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।