মতলব উত্তরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১-এ চেয়ারম্যান পদে একাধীক ইউনিয়ন থেকে দলীয় প্রতিক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। রাজপথে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের সাথে রক্ষা করে চলেছেন নিবির যোগাযোগ। দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন সম্যকভাবে। ফলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে তরুণ ছাত্র নেতাদের।
এখলাছপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার লক্ষে দীর্ঘদিন থেকে ভোটের মাঠে রয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন। তিনি করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। গরীব ও অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য খেলাধুলার আয়োজন করছেন। এলাকার গরীব পরিবারদের আইনী সহায়তা দিচ্ছেন। এলাকার মুরব্বী শ্রেণি ও যুব সমাজের কাছে অ্যাড. জসিম উদ্দিনের কদর তুঙ্গে। জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে। তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচন-২১ আ.লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান।
মোহনপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. সেলিম মিয়া। ইতিমধ্যে ইউনিয়নে অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এ তরুণ নেতা। তাকে নিয়ে প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজগুলিও। এসব প্রচারণায় ইতিবাচক সাড়া মেলেছে সর্বমহলে। তাই তরুণ এই ছাত্রনেতাকে নিয়ে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ইউনিয়নের যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদের খুব কাছ থেকে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা এবং সাধ্যমত সমাধানের চেষ্টা করেন। তৃণমুল নেতাকর্মীরাই তার প্রাণ। সাধারণ মানুষের একমাত্র অস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন অ্যাড. সেলিম মিয়া।
ষাটনল ইউনিয়ন থেকে নৌকার মাঝি হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে লবিং করছেন সাবেক মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক মোঃ ফেরদৌস আলম সরকার। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এই উদিয়মান নেতা। নিজ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কারো সাথে আপোষ করেন না তিনি। বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়িও বটে। রাজধানীতে ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে সপ্তাহে ২-৩ দিন সময় দেন নির্বাচনী এলাকায়। সদাহাস্যজ্জ্বল ফেরদৌস প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসায় গা ভাসাননি তিনি। তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন অবিরত। ফেরদাউস বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সাধারণ মানুষকে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করতে চান। তরুণ হওয়ায় ভোটারদের কাছে তার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।
নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ছাত্রনেতারা জানান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করেই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। দলের সুসময়-দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। রাজপথের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি দল আমাদের মূল্যায়ন করবে। দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার জয় নিশ্চিত করে স্ব-স্ব ইউনিয়ন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
সুমন আহমেদ