ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে মসজিদ থেকে ডেকে এনে বৃদ্ধাকে মারধর, লাকড়ি ও ছাগলের ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। এঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের মধ্য ধানুয়া গ্রামের মিয়া বাড়ি মসজিদে সম্মুখে। পরে স্থানীয় মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পিছু হটে। এঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল ধানুয়া আল জামিয়াতুল আরাবীয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার ১৩জন ছাত্র বাদ যোহর মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদে কোরআন খতম করার জন্য যায়। কিছুক্ষণ পরে মসজিদের সভাপতি দুলাল পাটওয়ারী মসজিদের এসে কোরআন খতমরত ছাত্রদের বকা দিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় মসজিদের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মুন্সির সাথে দুলাল পাটওয়ারীর সাথে কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। ৮ এপ্রিল শনিবার হাবিবুর রহমান মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করতে যায়। নামাজরত অবস্থায় দুলাল পাটওয়ারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী (৩৮), হাসান পাটোয়ারী (৩৪) হাবিবুর রহমানকে মসজিদ থেকে ডেকে এনে মসজিদের গেটে বেদম মারধর করে। এ সময় স্থানীয় মুসলিরা বাঁধা দেয়। একই দিনে ইফতারের পর দুলাল পাটওয়ারীর ছেলেরা হাবিবুর রহমানে লাকড়ি ও ছাগল রাখার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও মেয়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেবায়।
হাবিবুর রহমান মুন্সী জানান, ৮এপ্রিল শুক্রবার স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা আমাদের মসজিদে কোরআন খতম করতে আসে এবং কোরআন খতমরত অবস্থায় মসজিদের সভাপতি দুলালা এসে মাদ্রসার ছাত্রদের বের করে দেয়। এসময় আমার সাথে কথা কাটা কাটি হয় এবং মাগরিবের নামাজের সময় ধাক্কা ধাক্কি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯এপ্রিল শনিবার আমি মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায়রত অবস্থায় দুলারে ছেলেরা মসজিদ থেকে ডেকে মসজিদে গেটেই হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। তিনি আরো বলেন, আমাকে মেরেই তারা খান্ত হয়নি। একই দিনে ইফতারের সময় আমার লাকড়ির ও ছাগলের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং তারা আমার বসত ঘর ভাঙ্গতে আসে। এসময় আমার মেয়ে খাদিজা আক্তার বাঁধা দিতে তারা আমার মেয়েকে মারধর ও লাঞ্চিত করে এবং মেয়ের গলায় থাকা একটি র্স্বনের চেইন ও নাকফুল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দুলাল পাটোয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাবিবের সাথে আমাদের সম্পতি নিয়ে পূর্বের শত্রুতা রয়েছে। ঘটনার প্রথম দিন আমার সাথে তার কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর পর হাবিব আমাকে মেরে পেলার হুমকি দেয়। তাই আমি আমার ছেলেদের জানালে তারা ঢাকা থেকে বাড়ি এসে হাবিবকে মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে জিজ্ঞেস করতে গেলে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরো বলেন, তাদের ঘরে লাকড়ির ঘরে আমরা আগুন দেইনাই, তারাই আগুন দিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান শাহ আলম শেখ জানান, আমি প্রথম দিনের ঘটনা শুনেছি। দ্বিতীয় দিনের মারামারির ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউই অবগত করেনি। আমার কাছে আসলে আমি সমাধানে বিষয়ে উদ্বেগ নিব।