আমান উল্লাহ খান ফারাবী:
ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে দুই বছর পূর্বে মেয়েনিয়ে দন্ধের জের দরে পাইকপাড়া ইউজি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র তানভীর(১৫) গ্রুপ একই স্কুলের ২০২৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী আমির হামজার(১৬) উপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে তানভীর গ্রুপের মারুফ ও কাউসারের বাড়িতে সোডাউন দেয় আমির হামজার ক্লাশমিটসহ অন্যান্যরা, পরে রাত ১টার দিকে আমির হামজার বসত ঘরে তানভীর গ্রুপ আগুন দরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এঘটনাটি ঘটে ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত উপজেলার পশ্চিম জয়শ্রী বেপারী বাড়িতে,
এঘটনায় আহত আমির হামজা(১৬) বলেন, তানভীর, মারুফ, কাউসারদের সাথে একসপ্তা বা পৌনেরদিন আগে একটা জামেলা হয়, পরে আমাদের এক বড় ভাই ওদের সাথে আমাদেরকে মিলিয়ে দেয়। তানভীরদের সাথে আমাদের আর কোন জামেলাও নাই।
গতকাল সন্ধায় কাঁশারা দীঘির পাড় ঈদগাহ মাঠে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মাহফিলে ঘুরেপিরে দেখতেছি, তানভীর, মারুফ, কাউসাররা মিলে ওখানে আমার উপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে, আমার বন্ধু রবিউল, ইব্রাহিম দরতে আসলে তাদেরকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমার গাড়ে এবং হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
পরে ওখানকার মানুষরা আমাদেরকে সহযোগিতা করে এবং বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আমরা বাড়িতে চলে আসি, ডাক্তারে কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেই। আমি ঘরে দাদা ও মায়ের কাছে সব বিস্তারি বলি। রাতে আমি, মা, দাদাসহ ঘরের অন্যরা মিলে খাবার শেষ করে আমাদের বিল্ডিংএ ঘুমাতে যাই। রাত ১টার পরে আমাদের চৌচালা টিনের ঘরে গুন দরিয়ে দেয়। আমার দারোনা তানভীররা একাজ করেছে।
তানভীরের দাদা আজিজুল হক বলেন, আমার নাতির সাথে ওই ছেলেগুলোর সাথে কিনিয়ে জামেলা হয় জানি না। কিন্তু আমাদের কি দোষ ছিল, আমাদের ঘরে কেন আগুন দিবে?
রবিউল ও ইব্রাহিমের সাথে কথা হলে তারা বলেন, মাহফিলে জামেলা হয়, তারা হামজার উপরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তানভীর ও তার বন্ধুরা, আমরা দরতে গেলে আমাদেরকেও আঘাত করে।
হামজার চাচাত ভাই ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি সন্ধায় মাহফিলে গেছি, মহফিলে যখন হামজার উপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে, আমি শুনে দৌড়েগিয়ে ডাক্তার দেখাই, বাড়িতে নিয়ে যাই, পরে সবাই রাতে নিজের বাসায় চলে যায়, রাত ১টার পরে শুনি ঘরে আগুন লাগছে, ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘর পুড়ে চাই। ওরা হামজাদের সবাইকে মেরে পেলতে চাইছে।
ইউপি মেম্বার মুকবুল হোসেন বলেন, আমির হামজা ও তানভীরদের সাথে অনেক আগের জামেলা, সম্ভবত মেয়ে নিয়ে, তারা উভয় স্কুলে পড়ে, মাহফিলে জামেলা হওয়ার পরে হামজার সহপাঠীরা তানভীরে সাথে থাকা একজনের বাড়িতে (মারুফ) সোডাউন দেয়। পরে আমি রাতে গেছি, সবাইকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।
এরপরে শুনি রাত ১টার দিকে হামজার ঘরে আগুন, অল্পকিছুক্ষণের মধ্যে পুরো ঘর পুড়ে চাই।
তানভীরের বিরুদ্ধে মারামারি ও আগুন দেওয়ার অভিযোগের ঘটনা সততা জান্তে তানভীরের বাড়িতে দৈনিক শপথের এপ্রতিনিধি গেলে, তানভীর সাংবাদিকের কথা জান্তে পেরে বাড়ি থেকে চলে যায়। তার বড় ভাই বলেন, মারামারি হইছে শুনেছি, কিন্তু আগুনের বিষয়ে সে কিছু জানে না, আমি খবর পেয়েছি আগুন লেগেছে রাত ১০টায়। তখন তানভীর ঘরে। রাত ১টার আগুন লাগার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে তার কোন উত্তর নাই।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসর ইনচার্জ আব্দুল মান্নান বলেন, রাতে আগুন লাগার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, তারা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয় নাই।