সম্পাদকীয়
অর্থ বৈভব প্রতিপত্তি প্রাণিজগতের মানুষ্য সমাজকে বাহ্যিক অভ্যন্তরীণ এবং মধ্যমপন্থা গলিপথ তৈরি করে। এইসবের সমন্বয় উপযুক্ত উপযোগিতা একাকার হয়ে থাকলে অভ্যন্তরীণ জীবন ব্যবস্থা সামাজিক পারিবারিক প্রতিবেশী সকল ক্ষেত্রে আনন্দময় জীবন উপভোগ করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সকল বিষয় যদি একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক না থাকে তাহলে সমাজ পরিবার প্রতিবেশী কারো সাথে কারো সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটতে পারে না বরং এ সকল জীবন ব্যবস্থার সম্পর্কগুলো দিনে দিনে দূরত্ব বাড়তে থাকে। দূরত্ব বাড়তে থাকা সম্পর্কগুলো সম্পর্কের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেয়। জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে সকলের সকল ইচ্ছা একসাথে পরিপূর্ণ হয় না। কারো মনের চাহিদা যথাযথ সময়েই পরিপূর্ণ হয়। কারো কিছুদিন পরে হয় কারণ কখনোই হয় না। রঙ্গ মেলার এই পৃথিবীতে জীবনঘটিত বহুবিধ ঘটনা ঘটেই চলছে। চলমান জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো কারও ইচ্ছায় কারো অনিচ্ছায় এমন অনেকে আছে যাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কিছুই নেই। দিন চলে যাচ্ছে গোনার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে কেউ খবর রাখছে কেউ খবর রাখবে আবার কেউ খবর রাখা না রাখার খবরই রাখে না। খবরের পর খবর বর্তমান মানুষের জীবনকে বে খবর করে দিচ্ছে আত্মকে নিয়ে ভাবার আত্তের উন্নতি করে পরের জন্য ভাবা পরাত্মার শান্তি দেয়া কোথাও হয়ে ওঠে আবার কোথাও হয়ে উঠে না আবার কোথাও কোনটাই নাই। মানুষ তার নিত্য নৈমিত্তিক জীবন ব্যবস্থায় উদাসীন হয়ে পড়ছে। এর পেছনের খবর কেউ রাখে কেউ রাখে না। আবার কেউ রয়েছে গুছানো জীবন ভাবনা বুঝেই না। অগোছানো সময় কর্মপদ্ধতিকে এলোমেলো করে দেয়। প্রতি প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন কাজে নিজেকে সামিল করে রাখে। যে লোক কোন কিছুই করে না সে তার যা ইচ্ছে তাই করে সময় পার করে দিচ্ছে। কেউ জীবনের ভীত ভাঙছে আর কেউ জীবনের ভীত গড়ছে। বস্তুবাদ তন্ত্র জীবনের উপভোগ্যতাকে লেলিয়ে দেয় যার ফলে বস্তুবাদ জীবন ব্যবস্থার উপর মানুষের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। বস্তুবাদ স্থির থাকে তবে কিন্তু মানসিক চিন্তা চেতনায় এর উপস্থিতি পরমুখাপেক্ষীতার স্থায়ীত্বতা এবং ধ্বংস দোটানায় পড়ে থাকে। দোটানা মানসিক পরিস্থিতি দুশ্চিন্তা চতুর দিক থেকে আঁকড়ে ধরে। তবে কোন কিছুই নিজেকে বাধার সম্মুখীন করে না। তাই সঠিক জীবন ব্যবস্থা কর্মপন্থা সার্বিক কল্যাণময় পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যোগাযোগ রাখা এবং সামিল হওয়া দুটোই গুরুত্ব বহন করে।