মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন
নারী জাগরণের পথিকৃৎ নারীবাদী লেখিকা বেগম রোকেয়া লিখেছেন, মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া তুলিতে হইবে, যাহাতে তাহারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিনী, আদর্শ জননী এবং আদর্শ নারীরূপে পরিচিত হইতে পারে। পুরুষশাসিত সমাজের আচার অনাচার কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে বেড়ে উঠা তেমনি এক অনুপ্রেরণাময়ী নারী অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি ১৯৭৭ সালের ০৯ অক্টোবর ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সভ্রান্ত ‘খান মজলিশ’ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রেজাউর রহমান খান মজলিশ (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা) এবং মাতা শামীমা খান মজলিশ (গৃহিনী)। চাঁদপুর জেলায় যোগদানের পূর্বে তিনি উপসচিব হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী। তিনি সাভার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯২ সালে স্টার মার্কসহ ১ম বিভাগে এস.এস.সি পাস করেন। ১৯৯৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ হতে স্টার মার্কসহ ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি পাস করেন। একইসাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের নিকট হতে উপচার্য পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০০৩ সালে বি.সি.এস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর থেকে তিনি অত্যন্ত সততা, সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বগুড়া ও চট্টগ্রাম জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমলী আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন প্রশাসনে কাজ করার বাস্তব দক্ষতা অর্জন করেন। ফটিকছড়ি উপজেলায় কর্মকালীন সময়ে তিনি নবগঠিত ফটিকছড়ি পৌরসভায় ১ম পৌর প্রশাসক হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডে উপসচিব হিসেবে প্রেষণে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। অতঃপর উপসচিব হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের যে এলাকায় তিনি কাজ করেছেন সেই এলাকার জন-মানুষের মনে তিনি সততা ও উদার মানবিকবোধ সম্পন্ন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি দেশে ও দেশের বাইরে (জাপান, চীন ও ভারত) প্রশাসনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত কাজে থাইল্যান্ড, চীন, জাপান, ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনিশয়া ও সৌদিআরব ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিতা। তার স্বামী আবুল কাশেম মুহাম্মদ জহুরুল হক একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি দু’সন্তানের জননী। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজে পান বাবা ও শ্বশুর থেকে।
তিনি চাঁদপুরে গত ০৩ জানুয়ারি যোগদান করেই একের পর এক চমক সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। যোগদানের পরপরই চাঁদপুরের জনসাধারণ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। প্রথমেই জেলার সাংবাদিকের সঙ্গে বসে জেলার সমস্যা শুনেছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের অনেকেই বলেছেন, এভাবে উদ্যোগী হয়ে সমস্যার কথা শোনার রেওয়াজ ছিল না। তিনি অত্যান্ত কৌশলীও বটে। তাঁর বাস্তব-বোধও কিন্তু অসামান্য। সাধারণ মানুষের গহীনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রায় মতবিনিময় সভায় বলেন কোনো মাধ্যম ব্যবহার না করে সরাসরি মানুষের সমস্যার কথা শুনলে প্রকৃত স্বরূপ জানা যায়। তিনি মতবিনিময় সভায় ঘোষণা করেন যে, নিজেকে কখনও নারী কর্মকর্তা হিসেবে চিন্তা করেন না। সবসময় চিন্তা করেছেন, একজন সরকারি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা। তিনি মনে করেন, একজন কর্মকর্তাকে কর্মকর্তা হিসেবেই দেখা উচিত। পুরুষ না নারী, সেটা দেখার বিষয় নয়। কেমন কাজ করছেন, সেটাই দেখার বিষয়।
প্রশাসনের কাজের স্পিড বাড়ানোর উপর তাগিদ দেন। উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ভালো কাজের স্বীকৃতি। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজে তিনি একজন বলিষ্ঠ প্রশাসক হিসাবে নিজেকে জানান দিয়েছেন। এতে করে তাদের মধ্যে কাজের স্পৃহা সৃষ্টি হয় যা সত্যি একজন জেলা প্রশাসকের অসাধারণ পদক্ষেপ বলা যায়। যোগদানের পরই উদ্যেগ নিয়েছেন বিগত বছরগুলোর জমে থাকা জেলা প্রশাসনের সবধরনের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার। যা হতে হবে অত্যান্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে। নিয়োগের স্বচ্ছতার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে জেলা প্রশাসনের প্রতিটি দরজায় লিফলেট লাগিয়ে জানান দিয়েছেন। অতীতের জেলা প্রশাসকরা কয়েকবার উদ্যেগ নিলেও সম্পূর্ণ করতে পারেননি। ইতিমধ্যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। যা একজন নারী জেলা প্রশাসকের জন্য সাহসিকতার দৃষ্টান্তই বলা যায়।
উদ্যোগ নিয়েছেন সমস্ত উপজেলায় সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শনকালে সার্বিক সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের উদ্যোগ নেন। সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে কাজের সচ্ছলতা আনার জন্য। নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারি বরাদ্দ এলেই জনসম্মুখে তা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু যদি এগুলো প্রকাশ না করেন তাহলে জনসম্মুখে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। অতএব যা করবেন জনগণকে সাথে নিয়েই করবেন। দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য কাজ করবেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন একজন ডিসি হলেন “চেঞ্জ মেকার”। তাঁকে অবশ্যই পরিবর্তনে ব্রতী হতে হবে।’ জনগণের সঙ্গে মিশতে হবে, তাদের সমস্যা শুনতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে। মানুষকে ভালোবাসলে তাদেরও ভালোবাসা পাওয়া যায়।
তিনি এসেই শুরু করেন গণশুনানি। আহবান করেছেন সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ। প্রতি সপ্তাহে অসংখ্য অভিযোগ জেলা প্রশাসকের বরাবর আসে। প্রতি বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী কার্যালয়ে গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেন। যা চাঁদপুর সর্বমহলের প্রশংসিত হয়। চাঁদপুরের শিশু পরিবারের অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে সকাল বেলায়ই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যদিও তাহার বলিষ্ঠ উদ্যোগের কারনে আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
তিনি জেলার ফিমেল বিসিএস ক্যডার এসোসিয়েশননের হাল ধরেন। তাঁর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে,গ্রামের হতদরিদ্র ও শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন জেলা শহরের বাহিরে বাবুরহাট এলাকায়। ভূমি ও ঘরহীন দুইটি পরিবারের মাঝে ভুমিসহ ঘর প্রদানের উদ্যেগ গ্রহণ করেন, এই কাজটি চলমান রয়েছে চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউনিয়নে।
মানবাধিকার ছোঁয়ায় নেমে পড়েন দুস্থ ও শীতার্ত মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে। বিশেষ করে শহরের বেদে পল্লী, বাসস্ট্যান্ড, কালীবাড়ি, রেললাইন (প্লাটফর্ম), লঞ্চঘাট, মোলহেডে হতদরিদ্র ও দিনমজুর শীতার্তদের মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন পথশিশু কুলছুমের পরিবারের পাশে। নগদ ২০ হাজার টাকা, পড়ালেখার দায়িত্ব (জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার), মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব (সিভিল সার্জন)। দুটি পা নেই, কষ্ট করে হালচাষ করছেন এমতবস্থায় অসহায় ফরিদগঞ্জের প্রতিবন্ধী বিল্লাল গাজীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন নগদ ২০ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা করে ভাতা সুবিধা (সমাজসেবা), ২৫ হাজার টাকার ঋণ সুবিধা (সমাজসেবা) এবং চিকিৎসার দায়িত্ব (সিভিল সার্জন)। রেলস্টেশনে ১০০ বছরের অসহায় বৃদ্ধাকে দিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা। যেগুলো একজন জেলা প্রশাসকের এক মানবিকতার নিদর্শন বলা যায়।
কাউকে পরামর্শ দেয়ার আগে নিজেকে দিয়েই পথ দেখানো উচিৎ। যার প্রমাণ সরকারি নিদর্শনা অনুযায়ী চাঁদপুরে সবার আগে নির্ভয়ে করোনা টিকা নেন। নিজে যেহেতু টিকা নিয়েছেন তাহলে জনগণও নিবেন। যা অনুপ্রেরণা ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন বলা যায়। চাঁদপুরে জেলা প্রশাসক হয়ে আসার পর আজ অবধি কেউ তার মাঝে অহংকারের বিন্দুমাত্র ছিটেফোঁটাও দেখতে পায়নি। সহজ, সরল, সদা হাস্যোজ্জল এই ব্যক্তির সাথে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষ যেকোন সময় দেখা করতে পারেন এবং তাদের সুখ দুঃখের কথা বলতে পারে। যেকোন বিপদে আপদে অসহায়রা তার কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়না। প্রতিদিন অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সম্পর্কে জানতে চাইলে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাশ বলেন, যতটুকু দেখেছি আমার মনে হয়েছে তিনি অত্যান্ত বিচক্ষণ এবং ডায়নামিক জেলা প্রশাসক। তিনি একজন টেকনোলজিবেজড মানুষ যা বর্তমান সরকারের ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে। সব বিষয়ে তাঁহার তীক্ষè দৃষ্টি রয়েছে। আমরা আশা করছি চাঁদপুর জেলার সকল উন্নয়নে তাঁর বলিষ্ঠ ভুমিকা থাকবে।
পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার বলেন, তিনি একজন সৎ, ভালো এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারণ করা মানুষ। যতটুকু দেখেছি কাছ থেকে এবং যতটুকু বুঝেছি যে তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান সেই হিসাবে দেশের প্রতি ও মানুষের প্রতি আন্তরিকতা রয়েছে তাঁর। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই প্রশাসনিক কাজ করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সদ্য উপ-সচিব পদন্নোতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, অসাধারণ একজন উদ্যমি ও পরিশ্রমী জেলা প্রশাসক আমরা পেয়েছি। তিনি আইন কানুন কঠোরভাবে মেনে চলেন। আইন অমান্যকারীদের প্রতি তিনি যেমন কঠোর, আবার যারা আইন মেনে চলে, ভালো কাজ করে তাদেরকে তিনি সম্মান, মূল্যায়ন ও স্নেহ দিয়ে আগলে রাখেন। আমরা আশা করি তাঁর নেতৃত্বে আমরা চাঁদপুরের জেলার উন্নয়নে ও চাঁদপুরবাসীর সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব। চাঁদপুরের ইতিহাসে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি তাঁর সাফল্য কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিশেষ তাগিদ হচ্ছে মাঠপ্রশাসনকে জনবান্ধব হিসেবে তৈরি করা। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যদি সে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে তাহলেই প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষ সুফল পাবে। নারীর বলিষ্ঠ নের্তৃত্ব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার অন্যতম উদাহরণ হতে পারেন একজন অঞ্জনা খান মজলিশই। একইসাথে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে। প্রশাসনিক গণ্ডির বাইরেও নিজের অনুধাবন থেকে এভাবে জনবান্ধব কাজ করলেই এবং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মন জয় করলেই অচিরেই সোনার বাংলা রূপান্তরিত হবে। এরকমই ব্যতিক্রম কর্মকাণ্ডগুলো যদি আগামী প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হয় তাহলে দেশের অগ্রযাত্রায় তারাও অগ্রপথিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
দৈনিক শপথের একান্ত সাক্ষাৎকারে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন,দেশের প্রতি ভালবাসা আর নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা আমাকে সাধারন জনগণের জন্য কাজ করতে ধাবিত করে।আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কেবলতো শুরু, অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে যেতে হবে অনেকদূর..Miles to go before I sleep. সেজন্য দরকার আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা।
উনার অর্জনের পেছনে নিঃসন্দেহে বাবা ও মা একটা বড় প্রেরণা উৎকর্ষ বলা যায়। তিনি যে সবার থেকে আলাদা হয়ে উঠেছিল সেটা ছোটবেলায়ই বাবা মা বুঝতে পেরছেন। তাই শৈশবেই তাঁর বাবা মা অদম্য ইচ্ছাশক্তি মাঝে বড় হওয়ার বীজ বপন করেছিলে। নিঃসন্দেহেই আজকের অঞ্জনা খান মজলিশের অনুপ্রেরণায় নারী সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে। এভাবে দিনরাত অবিরাম ছুটে চলা একজন জেলা প্রশাসকের ভবিষ্যতে কি চাচ্ছেন সেটা অনুমান করাই যায়। তাহার প্রতিটি পদক্ষেপে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সামনে কি হতে যাচ্ছে! যদিও আড়াই মাসে একজন জেলা প্রশাসকের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া যায়না। কিন্তু ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে A tree is known by its fruit-গাছ তার ফলনেই পরিচয়, ‘Morning show s the day’ সকাল বেলায়ই বলা যায় দিনটি কেমন হবে। বর্তমানে চাঁদপুরে সর্বত্র যাকে নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলা হয়। আশা করাই যায়, একজন মানবিক এবং চেঞ্জ মেকার হতে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।