নজরুল ইসলাম আতিক:
এইচএসসিতে যা পাস করেছে তার চেয়ে আসন সংখ্যা অনেক বেশি আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার ( ১১ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে সাহিত্য মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এইচএসসিতে যারা পাস করেন। তারা অনেকেই পেশাগত যে শিক্ষা সেখানে যোগ দেন। এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ স্থাপত্যে, কেউ আইনে ভর্তি হন। তাছাড়া অনেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে যান। কেউ কেউ কারিগরি শিক্ষা নেন।
এছাড়াও সারাদেশে ২২৫৭ টি কলেজ আছে। সেখানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন। সবমিলিয়ে এইচএসসিতে যারা পাস করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি আসন রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্যে যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো হলো: স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি। এগুলোর একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্মার্ট নাগরিক। আর সেই স্মার্ট নাগরিক হচ্ছেন তারাই, যারা সৎ, পরমসহিষ্ণু, সহমর্মি, অসা¤প্রদায়িক। যিনি তার দেশ, তার ভাষা, তার সাহিত্য তার সংস্কৃতি সবকিছুকে ধারণ করেন। এর বিরুদ্ধাচারণ করেন না। সেই স্মার্ট নাগরিককে নিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করব। যিনি শিক্ষিত, যিনি দক্ষ, যিনি মানবিক ও সৃজনশীল। তিনি বলেন, আজকে দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। সেই শিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার মান বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার সেই মান বাড়ানোর পথেও একই অপশক্তি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তারা সেই একই যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে। প াশের দশকে বলেছিল নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে, ৯০-এর দশকে বলেছে নৌকায় ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বনি হবে। তারা আজকে আবার বলছে বই দিয়ে ইসলাম ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা ইসলাম ধ্বংসের ধোয়া তুলছেন তাদের প্রতিটি কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তাদের প্রতিটি কাজ ইসলামের নীতি আদর্শ পরিপন্থী আর যাদেরকে ইসলাম ধ্বংসের দায়ে দায়ী করতে চায় তাদের প্রতিটি কার্যক্রম অর্থাৎ শেখ হাসিনার প্রতিটি কার্যক্রম মানবতার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে অর্থাৎ ধর্মের মর্ম বাণীকে প্রকৃত অর্থে অনুসরণ করি কাজ করে শেখ হাসিনার কর্মীরা। তাহলে এই যারা মিথ্যাচারী করছে, যারা অপপ্রচার করে, যারা দেশবিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, যারা অবৈধ একটি দল এবং যাদের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধি, স্বাধীনতা অপরাধী, দেশবিরোধী অপশক্তি আছে তাদেরকে রুখে দাঁড়িয়ে আমাদের সবাইকে একটি সুস্থ সুন্দর মানবিক সমাজ তৈরি করে এগিয়ে যেতে হবে এবং সেই এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহিত্য চর্চা আমাদের সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে, প্রাণিত করবে, আমাদেরকে সাহস যোগাবে।
সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভা প্রধানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা বদরুন নাহার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী বেপারীসহ আরো অনেকে।