সুমন আহমেদ:
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সারা দেশেই কম বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে দর্জি দোকানগুলো। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় কয়েকগুণ বেশি কাজ থাকে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে। তার ব্যতিক্রম নয় মতলব উত্তরেও। উপজেলার দর্জি দোকানগুলোও ঈদের আগেই এবার কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। নতুন পোষাক তৈরিতে দিন-রাত সমান তালে কাজ করছে কারিগররা।
দর্জি দোকান ও টেইলার্সগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোর মেঝেতে কাপড়ের স্তুপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার বানানো পোশাক। সেলাই মেশিনের খটখট আওয়াজে মুখরিত দোকান। এর মাঝে আবার নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটার কাজও।
কয়েকজন দর্জি জানান, কাজের চাপে পোষাক তৈরির অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারিগররা আর কত পোষাক তৈরি করবে? চাপ একুট বেশি। উপজেলার ছেংগারচর বাজারের দর্জি মোঃ আবু সাঈদ উজ্জল জানান, আমরা যতœ সহকারে আধুনিক ডিজাইনের রুচিসম্মত পোশাক তৈরি করি। মানুষের আস্থাই আমাদের চলার পাথেয়।
এদিকে মহিলাদের পোষাক তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ভীড় দেখা যায় টেইলার্সে। এছাড়াও বিভিন্ন টেইলার্সগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।
আলাপচারিতায় জানা যায়, এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৫শ টাকা, শার্টের জন্য ৩শ টাকা এবং পাঞ্জাবির জন্য ৫শ টাকা ও থ্রি পিছের জন্য ৩শ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে।