সাগর আচার্য্য:
দুর্গোৎসবের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
শাস্ত্র মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুÐি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বালন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলি।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতু প্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্য মতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
কালীপূজা উপলক্ষে চাঁদপুর সদর সহ সকল উপজেলায় যেসব স্থানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই সকল স্থানেই কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদপুর জেলায় কালীপূজাতে সবচেয়ে বেশি ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে শাহরাস্তি উপজেলার শ্রী শ্রী মেহার কালীবাড়ি মন্দিরে।
কালীপূজা উপলক্ষে চাঁদপুর মহাশ্মশানে হরিবোলা সমিতির উদ্যোগে আজ সন্ধ্যা ৭টায় স্বর্গীয় প্রিয়জনদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে। প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে হিন্দু স¤প্রদায়ের সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক।
কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দির, গোপাল জিউর আখড়া, মজুমদার বাংলা, রামকৃষ্ণ আশ্রম, পুরান বাজার হরিসভা মন্দির, দাসপাড়া দুর্গা মন্দির সহ সকল মন্দিরে উদযাপন করা হবে।