রিয়াজ শাওন:
আমার বাবা মারা গেছে ১৮ বছর হয়েছে। আমি নিজেই এই সংসার চালাই। রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। কয় টেহা কামাই। অভাবের সংসার তার উপর হেদিন কাম করতে গিয়া পড়ে পাডা (পা) ভাইঙ্গা লাইছি। তিন মাস কাম করতে পারি না। এখন টাকার লাইগ্যা না খাইতে পারি, না চিকিৎসা করতে পারি। পায়ের অপারেশন করতে ৭০ হাজার টাকা লাগে। অপারেশন করতে না পারলে পঙ্গু হয়ে যামু ভাই, কেউ এটু সাহায্য করেন।
এভাবেই আকুতি করে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ড উওর বিষ্ণুদী পাটোয়ারী বাড়ির মৃত আবদুল্লাহ রসিদের ছেলে আবদুল্লা আল মামুন(২৬)। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার উপার্জনেই চলে পরিবার। তার পরিবারের আছে মা ও দুই বোন।
গত সেপ্টেম্বরে মামুন কাজ করতে গিয়ে মাচা থেকে পড়ে তার ডান পায়ের দুইটি হাড় ভেঙ্গে যায়। প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পর্রামশ দেয় ডাক্তার। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে কয়েক মাস চিকিৎসাও নেয়। সবশেষে ডাক্তার তার পায়ে স্টিলের পাত লাগানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু স্টিলের পাত ও অপারেশন করতে খরচ হবে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মত। কিন্তু দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে নিজের জমানো ও মানুষের কাছ থেকে নেয়া সমস্ত অর্থ ব্যয় হয়ে গিয়েছে। তাই পায়ের অপারেশন না করেই বাড়ি চলে আসে।
মামুন এর মা নূরজাহান বেগম বলেন, এখন আমার পোলার পায়ে স্টিলের পাত লাগাইতে হবে। এরজন্য বড় একটি অপারেশন করতে হবে। এতে শুধু মাত্র স্টিলের পাত কিনতে খরচ হবে ৪০ হাজার টাকা আর ঔষধ এবং অপারেশন করাসহ খরচ হবে আরো ৩০ হাজার টাকার মত। সব মিলিয়ে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। দেনা পাওনা করে এতদিন পোলার চিকিৎসা করছি। এখন আর পারি না। আর কত মানুষের কাছে হাতপাতমু কন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ডাক্তার বলছে ২১ ডিসেম্বর অপারেশন করাইবো। টাকা নিয়ে যাইতাম। কিন্তু টাকা কই পামু। টাকা নাই। টাকার জন্য অপারেশন করতে না পারলে আমি পঙ্গু হয়ে যামু। দয়া করে আমি সবার ও সরকারের কাছে সাহায্য চাই।