মোহনপুর নৌ-পুলিশের অভিযান
মেঘনা নদী পথের নিরাপত্তা ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছে মতলবের মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। যদিও জনবল সঙ্কট ও নির্দিষ্ট এরিয়া সীমাবদ্ধতা থাকায় উল্লেখযোগ্য সফলতা কম। এরপরও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ এবং নদীপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে এই ফাঁড়ির সদস্যরা।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ মাসে মতলব উত্তর মোহনপুর নৌ-পুলিশের অভিযানে ১ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার ২০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩৬ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এছাড়াও সরকার ঘোষিত জাটকা নিধন রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে পাঁচটি কাঠের নৌকা জব্দ করে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ টাকা। ওইসব জব্দকৃত কারেন্ট জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই ৫ মাসে মতলব উত্তরের মেঘনায় জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে এসব নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও নৌকা জব্দ করে। এছাড়াও গত ৫ মে ১টি ডাকাতি মামলায় ২৫ জন আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন নৌ-পুলিশ। এমনকি জনগনের নিরাপত্তা রক্ষায় মতলব মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছাউনিবিহীন স্পিডবোট নিয়ে নদীপথে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছেন।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারী মাসেও মৎস্য আইনে দুইটি মামলায় ২ জন জেলে আটক এবং মার্চ মাসে ৩টি মামলায় ৯ জেলেকে জাটকা ধরার অপরাধে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারী মাসে ৫ কেজি ও মার্চ মাসে ৭০ কেজি জাটকা মাছ জব্দ করে এতিম খানায় বিতরণ করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। যার মূল্য প্রায় ৮ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে মতলব মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক মো. অহিদুজ্জামান ও এসআই রিপন প্রধান বলেন, জাটকা নিধন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই জাটকা সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়াও নদীপথের নিরাপত্তায় কাজ করছে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে কোন জেলে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা বলেন, জাটকা সংরক্ষণে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মো. তুহিন ফয়েজ