স্টাফ রিপোর্টার:
দেশ স্বাধীনতার ৫০বছর পর সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন নিঃসন্দেহে সরকারের মহৎ উদ্যোগ। সরকারী ভাবে সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা হোক কলঙ্কমুক্ত। তালিকা প্রণীত হলেই নিপাত যাবে পেশার মাঝে লুকিয়ে থাকা ভুয়া, হলুদ ও অপ-সাংবাদিকতার মত গিরগিটি। তাই রাষ্ট্র ৫০বছর পর হলেও সাংবাদিকদের দায়মুক্ত এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করতে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা স্বাগত জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা এমপি এবং তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ সবসময় সকল ভালো কাজের সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠাতা, ট্টাষ্টি ও প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর।
শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ ঢাকা জেলার আয়োজনে নেতৃবৃন্দ সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ র্যালী করে। দেশব্যাপী জেলা উপজেলায় সংগঠনটির ডাকে দেড় শতাধিক শাখায় আনন্দ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত র্যালীটি বিএমএসএফ পুরানাপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। বিএমএমএফ ঢাকা জেলার আয়োজনে অনুষ্ঠিত র্যালী শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা সভাপতি রেজা নওফল হায়দার।
এতে বিএমএমএফ প্রতিষ্ঠাতা, ট্রাষ্টি ও প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর, ট্রাষ্টি মাইনুল হাসান, ট্টাষ্টি আলহাজ্জ্ব মো: মাসুম বিল্লাহ, ট্রাষ্টি রফিকুল ইসলাম মীরপুরী, জাতীয় পরিষদ নেতা কাইছার ইকবাল চৌধুরী, রেজাউল করিম, এসএম পিন্টু, মাহবুবুল কবির হিরু, আফজাল হোসেন জাকির, আনিস লিমন, আমেনা ইসলাম, রানী আকতার, ঢাকা জেলার নেতা উজ্জ্বল ভুইয়া, আল আমীন তাওহীদ, খোরশেদ আলম প্রমুখ। সমাবেশে বিএমএমএফ আজীবন সদস্য জাকারিয়া সোহাগ ও মোস্তাক খান অংশ নেন। সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের সময় বৃদ্ধিসীমা করে তথ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সুন্দর, স্বচ্ছ এবং প্রণীত তালিকা ১৫ মার্চ বিএমএমএফ’র জাতীয় কাউন্সিলের আগে প্রকাশ করে প্রত্যেককে আইডি নাম্বার প্রদান করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, বিএমএসএফ ২০১৩ সাল থেকে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়নসহ ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের আন্দোলন করে আসছে। সারাদেশের প্রায় ৩ শতাধিক শাখার প্রায় ১৫ হাজার সদস্য এই আন্দোলনের সাথে সক্রিয় রয়েছে।