ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
জমি কিনে ভূমি খেকোর আক্রোশরে শিকার হয়েছেন খরিদা মালিক নামের এক ব্যক্তি। নিজের প্রাপ্য জমি না পেয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন প্রায় ২০ বছর। জমির দখল নিতে তিনি ঘুরেছেন নানান জনের দারে দারে। ইতোমধ্যে জমির দখল রাখতে সন্ত্রাসী হামলার শিকারও হয়েছেন। শালিস বৈঠক করেও পাচ্ছেন না সুবিচার। সবশেষে নিজের জমি ফিরে পেতে ও সুবিচার পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। গতকাল সোমবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জমির মালিকানা দাবীদার আবদুল ছাত্তার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের হর্ণি দূর্গাপুর গ্রামে।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল ছাত্তার বলেন, গ্রামের নূর মোহাম্মদ বেপারী পৈত্রিক সূত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক। তিনি ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২নং দলিলমূলে তার স্ত্রী বেলায়েতেরনেছাকে ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে দেই। বেলায়েতেরনেছার নামে জমির বিএস রেকর্ড হয়। পরে ২০০০ সালে বেলায়েতেরনেছার কাছ থেকে সাবকবলা দলিলের মাধ্যমে আমি ১০ শতাংশ জমির মালিকানা গ্রহণ ও ভোগ দখলকার হই। যার দলিল নং-৩৮৩৫, ২০এ এপ্রিল ২০০০ খ্রিঃ।
কিন্তু, হঠাৎ করে এলাকার সন্ত্রাসী ও নানান অনৈতিক কাজের হোতা মোঃ আজিজুর রহমান ওই জমির মালিকানা দাবী করেন। আজিজুর রহমান দাবী করেন, ১৯৯৪ সালে তিনি বেলায়েতেরনেছার স্বামী নুর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ওই জমির সাবকবলা দলিল সৃজন করেছেন। যার বৈধতা নেই। কারণ, জমির মালিক নুর মোহাম্মদ স্ত্রী বেলায়েতেরনেছাকে ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২নং দলিলে দেয় মালিকানা যা এখনও বিদ্যমান। ফলে, বেলায়েতেরনেছার কাছ থেকে সাবকবলা দলিল মূলে আমি এখন প্রকৃত মালিক। এলাকার শালিস ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চেয়েছেন স্ত্রী বেলায়েতেরনেছার নামে দানপত্র দলিল অবৈধ কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বারংবার সময় চেয়ে কোনো জবাব দেননি।
আবদুল ছাত্তার বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি সকালে উক্ত জমিতে আমি কাজ করতে গেলে আজিজুর রহমান দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করে ও আমার দোকানের আংশিক দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। এসময় সে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি প্রদর্শন করে। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমাকে তিনি যে কোনো সময়ে বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। আমি আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের কাছে এর সুবিচার প্রার্থনা করছি।