চাঁদপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একবছরে ১৩শ ১৫ অভিযান
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে চাঁদপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেশ তৎপর রয়েছে। বেশ কয়েকটি অভিযান সাড়া জাগানো ছিলো।গত ১ বছরে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান করেছেন ১৩শ ১৫টি, মামলা রুজু করা হয়েছে ২শ ৬৬ টি, আসামী গ্রেফতার করেছে ২শ ৮৯জন। এসব অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার করেছে ২৬ হাজার ৭শ ৬১ পিস, গাজা ৩৫ কেজি, চোলাই মদ ৮০ লিটার, বিয়ার ৫ কেন, বিলাতী মদ ৮ বোতল, সিএনজি ২টা, মোটরসাইকেল ২টা এবং নগদ ১লাখ ৭৭হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
এর আগে চাঁদপুর ২০১৮/১৯ সালে অভিযান করেছেন ১৩শ ১৫টি, ২শ ৬৬ টি মামলা রুজু , আসামী গ্রেফতার করেছে ২শ ৮৯জন, ইয়াবা উদ্ধার করেছে ২৬ হাজার ৭শ ৬১ পিস,গাজা ৩৫ কেজি, চোরাই মদ ৮০লিটার,বিয়ার ৫ কেন, বিলাতী মদ ৮ বোতল, সিএনজি ২টা, মোটরসাইকেল ২টা এবং নগদ ১লাখ ৭৭হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
গত বছর ৬এপ্রিল সালে চাঁদপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপপরিচালক এ কে এম দিদারুল আলমের যোগদানের পরপরই চাঁদপুরে মাদকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো অভিযান পরিচালনা করেন।মাদকের গডফাদারদের গ্রেফতার করে আলোচনায় আসেন।
এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক শপথকে মাদক অধিদপ্তরের ডিডি এ কে এম দিদারুল আলম বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে। এই ব্যাপারে চাঁদপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কঠোর অবস্থান রয়েছে।আমাদের অভিযান সবসময়ই চলবে। মাদকমুক্ত চাঁদপুর করার জন্য নিরলসভাবে করে যাচ্ছি। এই ব্যাপারে জনসাধারণের সচেতনতা মুখ্য ভূমিকা রাখে।এখানে সবাইর সহযোগিতা পেয়েছি এবং চাঁদপুরের জনগণ এই ব্যপারে খুবই সচেতন তারা সবসময় সহযোগিতা করে আসছে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭৬ সনে এক্সাইজ এন্ড ট্যাক্সেশন ডিপার্টমেন্টকে পুনরায় পুনর্বিন্যাসকরণের মাধ্যমে নারকটিকস এন্ড লিকার পরিদপ্তর নামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ন্যস্ত করা হয়।১৯৮৯ সন পর্যন্ত নারকটিকস এন্ড লিকার পরিদপ্তরের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে উৎপাদিত মাদকদ্রব্য থেকে রাজস্ব আদায় করা। আশির দশকে সারা বিশ্বে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে এ সমস্যার মোকাবেলায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধ, মাদকের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে গণসচেতনতার বিকাশ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে ১৯৮৯ সনের শেষের দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮৯ জারী করা হয়। অতঃপর ২ জানুয়ারী, ১৯৯০ তারিখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,১৯৯০ প্রণয়ন করা হয় এবং নারকটিকস এন্ড লিকারের স্থলে একই বছর তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ তারিখ এ অধিদপ্তরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাস্ত করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালেয়র অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। দেশে অবৈধ মাদকের প্রবাহ রোধ, ঔষধ ও অন্যান্য শিল্পে ব্যবহার্য বৈধ মাদকের শুল্ক আদায় সাপেক্ষে আমদানি, পরিবহন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্যের সঠিক পরীক্ষণ, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিতকরণ, মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরোধ কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে নিবিড় কর্ম-সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অধিদপ্তেরর প্রধান দায়িত্ব।
ইকবাল বাহার