মানিক দাস:
চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ১৪ তম জাতীয় ইলিশ উৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় সেরা গানবাজদের প্রতিযোগিতার সূচনা করেন ইলিশ উৎসবের আহŸায়ক রোটাঃ কাজী শাহাদাত। ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী নেতা মানিক দেওয়ান, শাহ আলম মল্লিক, সাধনা সরকার, মৃনাল সরকার, অনিকা নন্দি, সেরা গানবাজদের প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অনুপম বিশ্বাস ও সাধনা সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদ।
বিকেল ৫টায় ইলিশের কবিতা ও গান নিয়ে মুক্তা পীযূষের পরিচালনায় ও মিঠুন বিশ্বাসের সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। তাতে আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রতœ পীযূষ, প্রখর পীযূষ, পূনম, ফাতেমা তুজ জোহরা, ফাহমি, আসমা, শুভশ্রী, নিলয়সহ আরো অনেকে। মুক্ত ভাবনার আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে কাজী শাহাদাত, মুক্তা পীযূষ, ডাঃ রাশেদা হাসান ও মানিক দেওয়ান ।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ও সান্ধ্যকালীন আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, আসলে এ অনুষ্ঠানে আমি মূখ্য আলোচক আগে জানতে পারলে আরো ভাল হতো। দেবী অন্ন পূন্যার কাছে বর চেয়েছিল আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। কিন্তু বাঙ্গালীরা এখন মাছে ভাতে আছে। চাঁদপুর ইলিশের জন্য ব্র্যান্ডিং। অন্য জেলা থেকে চাঁদপুরে ইলিশ আসে তার কারণ হলো চাঁদপুর ইলিশের ব্র্যান্ডিং হওয়ায়। ৭ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষার মৌসুম এসময় আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। চাঁদপুর থেকে লক্ষিপুর পর্যন্ত ৭০ কিঃমিঃ পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম। এ সময় এখানে মা ইলিশ ১৩ থেকে ২৫ লাখ ডিম দিয়ে থাকে। আমরা যদি বিবেচক না হই তাহরে মা ইলিশ রক্ষায় করা সম্ভব নয়। ইলিশ মাছ নদীর তলদেশে ডিম ছেরে থাকে। তলদেশ সুরক্ষিত রাখতে হবে। মাছ কম ২১ টি নদ নতীতে এ ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। এখন ইলিশ মাস স্রোতধারায় ভাসে বেড়ায়। তাই ইলিশ মাছ স্রোতের দিকে যাচ্ছে। চাঁদপুরে প্রায় ৪৪ হাজারের কছু বেশি নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তাদের জন্য আমাদের যে পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে তাদের দিয়ে রোধ করা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। ইলিশের ডিম সল্ডিং করা হয় কিনা, যদি হয় তাহলে আমরা মৎস্য মন্ত্রণালয় ও মৎস্য বিভাগ কে আমরা চিঠি দিব যেন বিষয়টি বিবেচনায় আনেন।
আলোচকের বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম বার। তিনি বক্তব্যে বলেন, আজকে এ উৎসব আমার জন্য দ্বিতৃয় উৎসব। ইলিশ উৎসব ১৪তম। চাঁদপুর হলো ইলিশের বাড়ি। প্রতিবছর আমাদের কে জাটকা রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করতে হয়। ৭ তারিখ থেকে মা ইলিশ রক্ষার মৌসুম এসেছে আমরা জেরা প্রসাশন ও পুলিশ প্রসাশন কঠোর ভূমিকা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ইলিশ ধরার নেপথ্যে কাজ করে এমন অভিযোগ রয়েছে। আমরা যখন চাঁদপুরে চাকুরী করতে আসি তখন আমাদের বন্ধু বান্ধরা ইলিশ খেতে আগ্রহ করে। তখন আমরা একটা ইলিশ তাতেন দিতে পারিনা। দিতে হয় বেশি। আর যদি রাজশাহিতে চনকুরী করতাম তাহলে এক শৃজনে এক মণ আম কিনে দিতে পারতাম ২ থেকে আড়াই হাজার টাকার মাধ্যমে। চাঁদপুরের ইলিশের দাম এত বেশি তা আমাদের মধ্যে ও ক্রয় করা কষ্টকর। বলা হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় নৌযান পুলেশের হেফাজতে রাখতে বলা হয়েছে, তা সম্ভব নয়, এ সব নৌ যান রক্ষণাবেক্ষণ করা কষ্টকর। এ বছর মা ইলিশ রক্ষায় আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
সংবধনা প্রদান করা হয় বাংলাদেশের গ্রেজেট ভুক্ত দুতরা বাদক অনুপম বিশ্বাস কে। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ইর্য়ক ফ্যাশানের স্বর্তাধিকারি মোঃ সেলিম খান।
আলোচনা সভা শেষে নৃত্যধারার অধ্যক্ষ সোমা দত্তের পরিচালনায় নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সব শেষে বয়াতি ঢাকার বাউল সন্ধ্যা। তাতে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সুলতান মাহমুদ, গোলাম পাঞ্জাতন, সঞ্জয় দত্ত, ফাহিমা আহমেদ শিফা, সুমন বড়ুয়া, মনসুর দেওয়ান, ভূইয়া সাজিদক সোহা, এম আর মানিক ও ইয়াকুব কমল।