সম্পাদকীয়
ধান চাষের ক্ষেত্রে হার্ভেস্টিং এর যন্ত্রণা সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণা। একটা হারভেস্টার মেশিন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হলে সেটা কেউ লাপাত্তা করতে পারবে না। কেউ একার বলে খেতে পারবে না। এখানে কোনো ফাঁকফোকর থাকবে না। তাই সরকারকে হারভেস্টার মেশিন প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়ার জন্য কৃষকদের আকুতি শোনা যাচ্ছে। স্যার এবং বীজ দিতে গিয়ে দুই নম্বরি করা যায়। কিন্তু হারভেস্টার মেশিন টা দেয়া হলে সরাসরি দেয়া হবে তখন দুই নম্বরি করা যাবে না। ফসলের মাঠের ফসল বপন থেকে শুরু করে ফসলের সার্বিক পরিস্থিতি সুন্দর হলে যথাযথ ব্যবস্থাপনা কার্যকর থাকলে দেশের কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি সাধন সম্ভব হয়েছে এবং হতে থাকবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়। চাষের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা এবং চারা রোপণ থেকে শুরু করে পানির পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচর্যা সম্পন্ন হলে ফসলের মাঠ সোনালী আভায় ভরে যায়। যত ঝামেলা হয়ে যায় হারভেস্টিং করা নিয়ে। হারভেস্ট মেশিন সচরাচর দেখা যাচ্ছে তা অত্যধিক চড়া মূল্য। ৩০ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায় স্যার বীজ এবং ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার প্রদানে কৃষিতে দারুন বিপ্লব এসেছে। স্বপ্ন প্রকৃতির খেলায় যদি টিকে যায় তাহলে স্বপ্নে বলব আর যদি প্রকৃতি ধাক্কায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে তো আর স্বপ্ন থাকবে না। তবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতির হারভেস্টার এর মাধ্যমে দ্রæত ধান সংগ্রহের কাজ করা গেলে হয়তো স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে। কিন্তু হারভেস্টার প্রক্রিয়াটা চড়া মূল্যের কারণে বেশিরভাগ কৃষকের সহজে ধান সংগ্রহ করা হয় না। ভর্তুকি মূল্যের বাহিরেও অনেক টাকার প্রয়োজন কয়েকজন কৃষক মিলে এমন হারভেস্টার মেশিন সংগ্রহ করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব নয়। তবে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। যদি ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি করে হারভেস্টার মেশিন সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় তাহলে জনগণের ধান গম ২ মৌসুমী ফসল উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আসবে। কারণ ধান এবং গম এই দুটি ফসল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়। সার এবং বীজ দুটি প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা সেটা কিন্তু তৃণমূলে পৌঁছায় না। সরকারের দেয়া আর কৃষিক্ষেত্রে বাস্তব পাওয়ার মধ্যে বিশাল ফাঁক রয়েছ্ েসেটা কিন্তু খোঁজ রাখা উচিত। হারভেস্টার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকারের পক্ষ থেকে হারভেস্টিং সম্পন্ন করার জন্য দাবি রয়ে গেল। কারণ হারভেস্টিং বিষয়টা জনগণের জন্য খুবই উচ্চ মূল্যের ব্যাপার। তাই সরকারের এই বিষয়টির ক্ষেত্রে আরও উদার হতে হবে। আর এসব অঞ্চলে সবসময় ধানের উৎপাদন হয় না। চাঁদপুর জেলায় একবারই ইরি ধান উৎপাদন করা হয় গম উৎপাদন হয়। গম উৎপাদন ছেড়ে দিয়েছে হার্ভেস্টিং এর উপরে বন্যার কারণে। ধানটা করতে হয় যদি সরকার অত্যাধুনিক পর্যায় হারভেস্টিং করার মেশিন তৃণমূল চাষীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে কৃষকের সাথে সরকারের সম্পর্ক স্থাপন হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্ব দেয়ার জন্য কৃষকদের একান্ত দাবি।