মো.মজিবুর রহমান রনি
হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে শুরু হয়ে গেছে ভোটের আমেজ। গতকাল সোমবার প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন প্রচার প্রচারণায়। গণসংযোগ করেছেন কেউ কেউ। যদিও প্রতীক বরাদ্দের আগেই অনেকেই মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। এখন প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা আবার গা ঝাড়া দিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। সোমবার (১১জানুয়ারী) উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে স্ব স্ব প্রার্থীরা তাদের প্রতীক বুঝে নেন। নির্বাচনে মেয়র পদে দুইজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫জন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৫হাজার ৩শ ৪৮জন, এরমধ্যে নারী ২২হাজার ৩শ ৯৩জন, পুরুষ ২২হাজার ৯শ ৫৫জন। দলীয় প্রতীকে নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বর্তমান মেয়র আ.স.ম মাহাবুব-উল-আলম লিপন ও সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছেন।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে কে কোন প্রতীক পেয়েছেন, সংরক্ষিত-১ (ওয়ার্ড নং- ১, ২ ও ৩) থেকে কাজলী রাণী সরকারের (চশমা) ও রোকেয়া বেগমের (আনারস), সংরক্ষিত-২ (ওয়ার্ড নং- ৪, ৫ ও ৬) থেকে লুৎফুন্নাহার খানমের (চশমা), সাহিদা বেগমের (আনারস) ও মমতাজ বেগম মুক্তার (জবাফুল), সংরক্ষিত-৩ (ওয়ার্ড নং- ৭, ৮ ও ৯) জোহরা বেগমের (টেলিফোন), মিনু আক্তারের (জবাফুল), সাবিনা ইয়াসমিনের (আনারস), সারমিন সুলতানার (চশমা), রোকেয়া বেগম কেয়ার (অটোরিক্সা), ফরিদা ইয়াসমিনের (বলপেন), সংরক্ষিত-৪ (ওয়ার্ড নং- ১০, ১১ ও ১২) রেজিয়া বেগমের (জবাফুল), নাজমুন নাহার ঝুমুর (আনারস), বিবি হাওয়ার (চশমা) ও জাহানারা বেগমের (বলপেন)।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা যেসব প্রতীক পেলেন, ১নং ওয়ার্ড থেকে সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমানের (ডালিম), মাঈনুদ্দিন মিয়াজীর (পাঞ্জাবী), আবু তাজের লিটন ভূঁইয়ার (ব্লাকবোর্ড), কাজী মামুনুর রশিদ মাসুদের (টেবিল ল্যাম্প), মো. জহিরুল হকের (উটপাখি), ২নং ওয়ার্ড থেকে আলাউদ্দিন মুন্সীর (ডালিম), সাংবাদিক মো. শাখাওয়াত হোসেনের (পানির বোতল), রাধা কান্ত রাজুর (গাজর), নান্নু বেপারীর (উটপাখি), মো. রাকিবুল ইসলাম রিপনের (টেবিল ল্যাম্প), আবিদ মিয়ার (পাঞ্জাবী) ও নাসির উদ্দিনের (ব্লাকবোড), ৩নং ওয়ার্ড থেকে রায়হানুর রহমান জনির (টেবিল ল্যাম্প), আব্দুল মোমেন খানের (ব্লাকবোর্ড), মোহাম্মদ হোসেনের (ডালিম), কামরুল ইসলাম খাঁনের (পানির বোতল), মহসিন ফারুক বাদলের (পাঞ্জাবী) ও জসিম উদ্দিন তপদারের (উটপাখি), ৪নং ওয়ার্ড থেকে আজহারুল ইসলাম আলম বেপারীর (টেবিল ল্যাম্প), মো. মনির হোসেন সাগরের (পাঞ্জাবী), মো. তাজুল ইসলামের (উটপাখি), ৫নং ওয়ার্ড থেকে রিটন চন্দ্র সাহা লিটনের (টেবিল ল্যাম্প), মো. আলাউদ্দিন চৌধুরীর (উটপাখি), মো. সুমন তপদারের (পাঞ্জাবী) ও কার্তিক সাহার (ডালিম), ৬নং ওয়ার্ড থেকে মো. শাহ আলমের (উটপাখি), শাহাব উদদ্দিন সাবুর প্রতীক (ডালিম) ও রাসেল খানের (টেবিল ল্যাম্প), ৭নং ওয়ার্ড থেকে এমরান হোসেন মুন্সীর (পাঞ্জাবী), মো. কাজী মনিরের (উটপাখি), ৮নং ওয়ার্ড থেকে কাজী মুরাদ হোসেন মিরনের (পাঞ্জাবী), আলহাজ্ব কাজী কবির হোসেনের (ডালিম) ও মোবারক কাজীর (উটপাখি), ৯নং ওয়ার্ড থেকে মো. আজাদ হোসেন মজুমদারের (উটপাখি), হাফেজ মো. মোস্তফা কামালের (পাঞ্জাবী), মো.শাহদাৎ হোসেন বাবুলের (ব্রিজ), সালেহ আহম্মেদ রানার (পানির বোতল), আইয়ুব আলী বেপারীর (ডালিম) ও জামাল হোসেনের (টেবিল ল্যাম্প), ১০নং ওয়ার্ড থেকে খোরশেদ আলম ভুট্টোর (ডালিম), হাবিব-উন-নবী সোহেলের (পানির বোতল), সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাকের (টেবিল ল্যাম্প), বিল্লাল হোসেনের (পাঞ্জাবী) ও ফজলুল হক মজুমদারের (উটপাখি), ১১নং ওয়ার্ড থেকে মো. শুকু মিয়ার (বোতল), মুন্সী মোহাম্মদ মনিরের (পাঞ্জাবী), সাদেকুজ্জামান মুন্সীর (টেবিল ল্যাম্প), ও মো. হারুন অর রশিদের (উটপাখি), ১২নং ওয়ার্ড থেকে নুরুল ইসলাম বেপারীর (পানির বোতল), শাহআলমের (উটপাখ) জহিরুল ইসলামের (পাঞ্জাবী) ও শুকু মিয়ার (ডালিম)। আগামী ৩০ জানুয়ারী সকাল ৮ টায় থেকে বিকেল ৪ টায় পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে।