মো. মজিবুর রহমান রনি:
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ ইউনিয়রে স্বাস্থ্য সহকারী মো. কবির হোসাইনের বিরুদ্ধে করোনার ভ্যাকসিন অর্থের বিনিময়ে প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। নানা অনিয়মে জর্জরিত কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী কবির হোসাইনের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন মর্ডানা এবং ফাইজার অর্থের বিনিময়ে মাঠ পর্যায়ে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক মিটিংয়ে করোনা ভ্যাকটিস প্রয়োগে ৫০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ তুলেন। ৮টি টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা প্রয়োগের কথা থাকলে ওই স্বাস্থ্য সহকারী কবির হোসেন ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে রামপুর পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বসে টিকা দিয়ে আসছে। এতে হয়রানির শিকার হতে হয় নারী ও শিশুরা। এ স্বাস্থ্য সহকারীর টিকা দান কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বাজনাখাল চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক, রামপুর দক্ষিণ পাড়া ভূঁইয়া বাড়ি, মাড়ামুড়া মজুমদার বাড়ির মাদ্রাসা, সৈয়দপুর টুকু মজুমদার বাড়ি, সৈয়দপুর উত্তরপাড়া মিজি বাড়ি, সৈয়দপুর জামাল মিজি বাড়ির, রামপুর বজেন্দ্র সাহার বাড়ি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্য সহকারী কবির হোসাইন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে একটি কেন্দ্রে বসে ৮টি কেন্দ্রের টিকা প্রয়োগ করছে। টিকা প্রার্থী শিশু, গর্ভবতী মহিলারা তাদের নিদিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারছে না। এ স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পাওয়ার পর একই এলাকায় ১টি মাত্র কেন্দ্র থেকে টিকা প্রয়োগ করে আসছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কবির হোসাইনের কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছে অনেক নারী। তার দেওয়া সময় অনুযায়ী টিকা গ্রহণকারীরা না আসছে গাল-মন্দ করার অভিযোগ রয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হানিফ হোসেনের স্ত্রী টিকা দিতে গিয়ে কবির হোসাইনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়। করোনা ভ্যাকসিন মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের অনুমোদন দিলে উপজেলা পর্যায়ের মর্ডানার এবং ফাইজার টিকা ১ হাজার টাকা করে বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন এর সমর্থক পরিচয় দিয়ে একের পর এক অনিয়ম দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে কবির হোসাইন।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিয়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় ৫০টাকা করে নেয়ার বিষয়ে তুলে ধরি। তবে কোন ব্যক্তিকে উল্লেখ করে আমার অভিযোগ নয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তার নজরে আনার জন্য সেদিন অভিযোগ দিয়েছি। যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হতে না হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নঈম বলেন, মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ তুললেও এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।