মো. মজিবুর রহমান রনি:
হাজীগঞ্জে গোপন বৈঠককালে জায়ামাতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার সময় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ কিউসি (কাতার-কানাডা) টাওয়ারে ১১ তলার অবসরকালীন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আব্দুস সালামের ভাড়া বাসায় বৈঠক চলাকালে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন, নাছরিন খানম (৫২) কচুয়া, আঞ্জুমারা লাকি (৪০) সাচার, শাহানা বেগম (৪৩) কচুয়া, ফাতেমা বেগম (৪২) হাজীগঞ্জ, হাসিনা বেগম (৪৭) হাজীগঞ্জ, সালমা আহম্মদ (৩৮) হাজীগঞ্জ, জেসমিন আক্তার (৪৮) শাহরাস্তি , নিহারা বেগম (৫৭) শাহরাস্তি, শিরিনা বেগম (৪২) শাহরাস্তি, মাসুদা বেগম (৪০) শাহরাস্তি ও সেলিনা আক্তার (৪৩) শাহরাস্তি উপজেলা।
জানা গেছে, কিউসি টাওয়ারের ১১ তলার ‘বি’ বøকে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম। তিনি বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত ওই বাসায় জামায়াতের নারী সদস্যরা আসা-যাওয়া করতো এবং গোপন বৈঠক হতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসাসহ ভবনটি নজরদারীতে রাখে পুলিশ। এরপর রোববার গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসা থেকে জামায়াতের মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ বই ও দাওয়াতি কার্ডসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কিউসি টাওয়ারের ‘বি’ বøকের দারোয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই বাসায় প্রায় সময় মহিলারা আসা-যাওয়া করতো। তারা কি জন্য বা কি কারণে আসা-যাওয়া করতো, তা তিনি জানেন না। এখন নারীদের আটক হওয়ার পর তিনি বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে অবসরকালীন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে ওই স্থান থেকে সরে যান। পরে তাঁকে না পাওয়ায় এবং তাঁর মুঠোফোন সংগ্রহ করতে না পারায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জামায়াতের নারী কর্মীদের আটকের বিষয়ে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও আটককৃতের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক পরিকল্পনার কথা জানতে পারি। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার এস আই নরুল আলম বাদী হয় যার মামলা নং ৯৭৭। পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।