মোঃ হোসেন বেপারী:
হাজীগঞ্জ উপজেলায় কমেছে করোনা সংক্রমন। কিন্তু সংক্রমন কমলেও প্রতিনিয়তই বাড়ছে জ্বর-সর্দিকাশি রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তি হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আগতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই সময় জ্বর সর্দি হওয়ার একটু সম্ভবনা থাকে। তাই এই সময়ে একটু সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে শিশুদের দিকে আলাদাভাবে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে রোববার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় আগত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও নারী। যার অধিকাংশ জ্বর সর্দিকাশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসা নিতে।
চিকিৎসকেরা বলছে, কিছুদিন ধরে গরম ও ঠান্ডা সমান তালে পড়ছে। তাই এ সময়ে জ্বর সর্দিকাশি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে পরিবাকে একটু সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে উপজেলায় কমেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় তিনটি নমুনা সংগ্রহে কারোরই করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুষ্টার ডোজ নিতে প্রতিদিনই হাসপাতালে আসলে সাধারণ মানুষ। রোববার সারাদিনে প্রায় এক হাজারের অধিক করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ টিকার দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৮ জন, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৮ জন ও তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) গ্রহণ করেছে ৪ হাজার ২২ জন। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।