রিয়াজ শাওন:
হাজীগঞ্জস্থ রামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত মফিজ স’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউস নামে একটি করাত কলের ধুলোবালি ও গাছের গুঁড়ি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। করাত কল থেকে নির্গত হওয়া গাছের গুঁড়ি বাতাস উড়ে চারপাশে বসবাস করা বাসিন্দাদের বাসা বাড়ি ও দোকানে যাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে এখানকার বাসিন্দাদের ও রাস্তায় চলাচল করা পথচারীদের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই একটি জনবহুল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা চালিয়ে আসছে মফিজ স’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউজের কর্ণধর মফিজুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার, বিশ্বরোডের চৌরাস্তা থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে রামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত মফিজ স’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউসের ১০০ মিটার দক্ষিণে একটি বেসরকারি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল রয়েছে। উত্তর দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। পশ্চিম দিকে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবস্থিত। পূর্বদিকে কয়েকটি আবাসিক বহুতল ভবন রয়েছে।
আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর ব্যাপক পরিমাণ করাত কলের ধুলাবালি ও গাছের গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকয়েকজন দোকানদার জানান, করাত কলের ধুলাবালি মারাত্মকভাবে তাদের ক্ষতি করছে। দোকানে সব সময় ধুলাবালি এসে পড়ে। বারবার পরিস্কার করেও লাভ হয় না।
করাত-কল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিঘ্র সৃষ্টি করে এইরূপ কোন স্থান নূন্যতম থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এর মধ্যে কোন করাত কল স্থান করা যাবে না।
তাহলে কীভাবে জনবহুল একটি জায়গায় এমন পরিবেশ দূষণকারী করাত কল স্থান করেছে? জানতে চাইলে এ বিষয়ে মফিজ স’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউসের মালিক বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি। আমার লাইসেন্স আছে। সরকার আমারে লাইসেন্স দিয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, এখন এটা এখানে থাকা ঠিক না। আমি তাকে বন্ধ করতে বলছি।
এই বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, এতে যদি পরিবেশ দূষণ হয়। তাহলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারব।
এমন জনবহুল একটি স্থানে এমন একটি করাতকল মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ করে আসছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে একটি যেন বন্ধ করে দেয় সরকার।
ছবি: সংগ্রহকৃত।