মোঃ হোসেন বেপারী:
হাজীগঞ্জে রুটি গরম করতে গিয়ে মেহেরিন কাজী (১৭) নামে শারীরিক প্রতিবন্ধী এস স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ১০ম শ্রেণি পড়–য়া মেহেরিন নিজ ঘরে আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতুবরণ করে। গত সোমবার সকাল ৭টায় উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসা কাজী বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পা-খোঁড়া প্রতিবন্ধী মেহেরিন কাজী। তার বাবা ৭ বছর আগেই মারা যান। দুই প্রতিবন্ধী মেহেরিন ও তাহরীন এবং ছোট মেয়ে তাছমিয়াকে নিয়ে সংগ্রামী জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছিলেন মা কামরুন নাহার।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে পারিবারিক কাজের তাগিদে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ছোট মেয়ে তাছমিয়া প্রাইভেট পড়তে চলে যায়। চলাফেরা করতে না পারা আরেক প্রতিবন্ধী বোন তাহরীন কাজী রান্না ঘরের পাশের একটি বারান্দায় সে। পরে মায়ের হাতে বানানো রুটি গরম করতে রান্না ঘরে যায় মেহেরিন। এসময় অসাবধানতাবশত চুলার আগুন মেহেরিনের জামায় লেগে যায়। নিজে প্রতিবন্ধী হওয়ায় এসময় এগিয়ে আসতে পারেনি তাহরীন কাজী। এসময় প্রতিবেশী কেই পাশে না থাকায় তার চিৎকারও কেউ শুনতে পারেনি। শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ যখন পুড়ে যায় তখন প্রতিবেশিরা রান্নাঘরের আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন।
পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে বাবুরহাটে মারা যান প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী মেহেরিন। পরে সোমবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।