মো. রনি:
এই মুহুর্তে চাঁদপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকাটির নাম ‘দৈনিক শপথ’। পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের (কাদের পলাশ)। তাঁর মেধা ও মননে পত্রিকাটিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেছেন। ২য় বছরপূর্তি ও ৩য় বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষে কাদের পলাশ ভাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই পত্রিকার সঙ্গে অন্য যারা যুক্ত আছেন তাঁদের প্রত্যেককেও অভিনন্দন জানাই। পত্রিকা একটি টিমওয়ার্কের ব্যাপার। নেতৃত্বে থাকেন একজন আর তাঁর সঙ্গে থাকেন বহুজন। বহুজন মিলে তৈরি হয় একটি সার্থক পত্রিকা। কিন্তু সার্বিক কৃতিত্ব প্রকৃত অর্থে সম্পাদকের। তিনি হচ্ছেন নেতা। নেতার নেতৃত্বেই হয় সবকিছু।
‘দৈনিক শপথে’ আছেন একঝাঁক তরুণ মেধাবী সাংবাদিক। তাদের সাহসী পদযাত্রা এই পত্রিকাকে হাজারো মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। মাত্র ৪ পৃষ্ঠার পত্রিকাটিতে থাকে অনেক সংবাদ। ৩ টাকা দামের পত্রিকাটি হাতে নিয়ে ছোট ছোট অনেক সংবাদের মধ্য দিয়ে পাঠক পেয়ে যাচ্ছেন দেশ ও চাঁদপুরের প্রায় সব খবর। যদিও এখন টেলিভিশন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। যে কোনো ঘটনা ঘটলে মুহুর্তেই বিভিন্ন মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। তারপরও ছাপা মাধ্যমটি এখনো কেন জনপ্রিয়? ‘দৈনিক শপথ’ কেন হাজারো পাঠকের মন জয় করেছে? আমি মনে করি, এর পিছনকার কারণ হচ্ছে ‘দৈনিক শপথ’ সংবাদের পিছনের সংবাদ খুঁজে বের করে, যা টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে না। আর যে ব্যস্ত সময়কালের মধ্যে আমরা বসবাস করছি, এই সময়ে মানুষের হাতে এত সময় নেই যে, দীর্ঘক্ষণ ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খবরের কাগজ পড়বেন। দৈনিক শপথের বেশিরভাগ সংবাদই ছোট ছোট। এক দুই মিনিটের মধ্যে বহুকিছু জেনে যাচ্ছে মানুষ। আমি মনে করি, পত্রিকাটির জনপ্রিয়তার মূল কারণ এখানে। যত দিন যাবে এই জনপ্রিয়তা বাড়তেই থাকবে বলে আমার ধারণা।
‘দৈনিক শপথ’ এবার ৩য় বছরে পা রাখল। পা রাখার এই শুভক্ষণে পত্রিকাটির জন্য রহিল আমার গভীর গভীরতর ভালোবাসা। কাদের পলাশ ভাইয়ের জন্য প্রার্থনা, পরম করুণাময় যেন তাঁকে দীর্ঘজীবী করেন। আরও অনেক অনেক বছর যেন তিনি তাঁর মেধা ও মনন দিয়ে দৈনিক শপথকে আরও বহুদূর এগিয়ে নেন। এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্যও রহিল আমার ভালোবাসা, প্রীতি ও শুভেচ্ছা। অভিনন্দন জানাই তাঁদের প্রত্যেককে।