শরীফ মোঃ মাছুম বিল্লাহ:
হাইমচরে পানির অভাবে মাঠের উঠতি বোরো ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ সংকটে উপজেলার শত শত হেক্টর ফসলি জমি ফেটে চৌচির হতে চলছে। এতে আগামী ফলন নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকের। সেচের একমাত্র ভরসা শাখা খাল ও নালার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় আবাদের এ করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানে সাময়িকভাবে পাম্পের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সেচের অভাবে ফসলি জমি ফেটে চৌচির। তীব্র তাপদাহে হাইমচরের প্রায় ৬ শত ৫০ হেক্টর বোরো আবাদের জমির পানি শুকিয়ে মাটি শক্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে চারা।
জানা যায়, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে খালের পানি শুকিয়ে এ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরভৈরবী, উত্তর আলগী ও দক্ষিণ আলগী ইউনিয়ন সহ চরাঞ্চলের অনেক জমিতে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা।
প্রথমত আবাদে ঋণের বোঝা, তার ওপর শুকিয়ে যাওয়া মাঠের এমন অবস্থায় দিশেহারা কৃষক। দ্রæত সংকট সমাধানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েকমাস আগেও ছিল জোয়ারের পানিতে বন্যা। অথচ এখন খরা পরিস্থিতিতে চৌচির ফসলের মাঠ। বৃষ্টি হয়েছে মাস দু’য়েক আগে। ক্ষেত শুষ্ক, তাই জমিতে সেচ দিতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফসলি জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও মাটি ফেটে গেছে। পানির অভাবে কৃষক জমিতে চাষ করতে পারছে না। রোপা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। কিছু সংখ্যক কৃষক জমিতে অগভীর নলক‚প বসিয়ে সেচ দিতে পারলেও অধিকাংশ দরিদ্র কৃষক তাকিয়ে আছে বৃষ্টির পানে। এদিকে চারা রোপণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবব্রত সরকার জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বোরোধান চাষে পানির বিকল্প নেই। পাম্পের মাধ্যমে সেচ দেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করেছি, যে সমস্ত অঞ্চলে পানির অভাবে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ে, সে সব অঞ্চলে পানি পৌছানোর ব্যবস্থা করা হবে।