সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তর উপজেলার টরকী গ্রামের কৃষক সোহেল সরকার। ছিলেন সৌদি প্রবাসী। প্রবাস জীবন ছেড়ে কৃষিকাজে জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করছেন। চিন্তা অনুযায়ী হলুদ তরমুজ চাষ শুরু করেন। ইতোমধ্যে সফলও হয়েছেন তিনি। তার তরমুজ ক্ষেত দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। দেখতে যেমন সুন্দর আর খেতেও রসালো ও সুস্বাদু। তাইতো তিনি তরমুজ বিক্রি করে লাভেরও স্বপ্ন দেখছেন।
সোহেল সরকারের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। দেখতে যেন হলুদের সমারোহ। এই উপজেলায় প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করছেন তিনি। তাই প্রতিদিনই তার এই তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
আলাপকালে সোহেল সরকার বলেন, সৌদি আরবে ছিলাম। দেশে আসার পর ইউটিউব দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে হলূদ তরমুজের চাষে আগ্রহী হই। এ বছর ২০ শতাংশ নিজের জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। প্রথমে বগুড়া থেকে ৭০০ চারা এনে রোপণ করি। কিছু চারা মারা গেছে। বর্তমানে ৫০০ চারা আছে। রোপণের ১ মাসের মধ্যেই ফলন আসে। আর খাওয়া বা বিক্রির সময় হতে লাগে ৬০/৬৫ দিন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। আর ১৫/২০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হবে। গাছে তরমুজ আছে প্রায় ১ হাজার। ১৫০ টাকা করে বিক্রি করলে দাম আসবে দেড় লাখের মতো। আশা করা যায় সব খরচ বাদ দিয়ে ৬০/৭০ হাজার টাকা লাভ হবে। তাই গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। লাভবান হলে আগামী বছর আরো বেশি চাষ করবো। তবে তরমুজ চাষ শুরু থেকেই তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, চাষি সোহেল সরকার এ এলাকায় প্রথম হলুদ তরমুজ আবাদ শুরু করেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা শুরু থেকেই করা হয়েছে। আরো কেউ যদি করতে চায় আমরা তাকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।