সম্পাদকীয়:
জনবহুল বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ব্যক্তি কেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থায় প্রত্যেকের দৈনন্দিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে হয়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে জীবনের মূল্যবোধ জীবনের কার্যক্রম পরিচালনা যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের বিভিন্ন নিয়ম নীতির অবলম্বন করে চলাচল করতে হয়। কিন্তু মানুষ সেই বিষয়ে উদাসীন রয়ে গেল। যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনগণের বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করতে হয়। যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পরিচালক এছাড়াও হেলপারসহ বিভিন্ন যানবাহন সাধারণ জনসেবায় রয়ে গেছে। সকল যানবাহনের পরিচালনার যে দক্ষতা দরকার এবং জনগণের ব্যাপক সচেতনতা সড়কে পরিবহনের ক্ষেত্রে চলাফেরার ক্ষেত্রে নিয়ম নীতির উপর ব্যাপক দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ২০ অক্টোবর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে কচুয়ায় কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত। এখনও জনগণের ব্যক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। সময় থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি এই ভাবনা চিন্তা চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করা না গেলে মানুষের অভ্যাসগত রূপে পরিণত না করতে পারলে সড়কের নিরাপদ সড়ক ¯েøাগান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এখানে অনেকেরই দায় রয়ে যায়, রয়ে যায় পরিবহন মালিকের দায়বদ্ধতা। পাশাপাশি থেকে যায় পরিবহন পরিচালকের ও সামগ্রিক জনতার দায়বদ্ধতা। এখন একটা বিষয় হলো নিরাপদ ভাবে জীবন যাপন এবং চলাফেরার ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত জীবনের মূল্যবোধ বাস্তবায়িত না হবে, প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে প্রথিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে না। এছাড়াও প্রশাসনিক যে বিষয়টা রয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সড়কে পরিবহন পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক যে কাগজপত্র যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিশেষ করে পরিচালকের এবং পরিবহনের ফিটনেস তথ্য এই সকল বিষয়গুলো যথাযথভাবে সংগ্রহে রাখার জোর প্রভাব খাটাতে হবে। যদি এই বিষয়গুলো প্রভাব খাটানো যায় বা বাস্তবায়ন করানো যায় তাহলে সড়কের দুর্ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসবে। আর প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায় সামগ্রিকভাবে সকল জনগণের ব্যাপক সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেও অনেকাংশে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সে হিসেবে দেশের সচেতন মহলের দাবি হলো যানবাহনের ফিটনেস, পরিচালকের দক্ষতার প্রমাণপত্র, মালিকদের বিশেষ এবং জনগণের সার্বিক সচেতনতায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারলেই সড়ক নিরাপদ বাস্তবায়ন হবে।