সম্পাদকীয়
চাঁদপুর জেলার সড়ক মহাসড়ক নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে আলোচনা। বিশেষ করে পরপর বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর এই আলোচনা আরো বেগবান হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার পেছনে নানান রকম সমস্যার পাশাপাশি সড়কের মান নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে ব্যাপক। এরই মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মহাসড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (এইচডিএম) সার্কেল সড়কের মান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত সওজের ৩০ শতাংশের বেশি সড়ক খারাপ। চাঁদপুর জেলায় আঞ্চলিক সড়কের মধ্যে কুমিল্লা-লালমাই-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ সড়কের প্রায় ১৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটির চাঁদপুর অংশই অন্যতম। এই সড়কের মধ্যে কুমিল্লা থেকে লালমাই অংশ ফোর লেন হয়ে গেছে। পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়ন হয়নি চাঁদপুর অংশে। তুলনামূলক সরু, অতিরিক্ত পরিবহনের চাপে লেগে থাকে যানজট, সড়কের ভঙ্গুর অবস্থার কারণে দুর্ঘটনাকবল হয়ে পড়েছে এই সড়ক, ব্যায় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। যার ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন এখানকার মানুষ। এ বিষয়ে দৈনিক শপথ গত ১৮ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গাড়ির গতিরোধ করছে সড়কের বাজার ঘিরে থাকা মানুষের ভিড়। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষ দেখছে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু। অনেককেই বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। জেলার অন্যতম এই সড়কের চিত্র ফুটে উঠছে স্থানীয় পত্রিকাগুলোর প্রতিবেদনে। খারাপ সড়কের দিক থেকে ৩ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটির পর রয়েছে মৌলভীবাজার, এর পরই রয়েছে চাঁদপুরের অবস্থান। এমতাবস্থায় সড়ক দখল করে বসা বাজারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এই সড়কটিকে ৪ লেনে উন্নীত করা অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত সড়কটি নিয়ে সুচিন্তিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা চাঁদপুরবাসীর।