সম্পাদকীয়
জনসেবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কিছু কিছু জনসেবা মাঝে মাঝে অনৈতিক চিন্তাধারার খপ্পরে পড়ে যায়। এটা হয় নৈতিক চিন্তা চেতনার অবক্ষয়ের কারণে। সমগ্র বাংলাদেশ জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র। সরকার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে অনিয়মের ব্যাপক বেড়াজাল। এছাড়াও বেসরকারি বলতে মালিকানাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার মান ধরে রাখতে গিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ছাপ থাকলেও অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির নিরব ঘাতক হিসেবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলছে। এখানে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বেশিরভাগ জনগণের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের কারণে জনগণ বেসরকারি ও মালিকানাধীন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে গিয়ে থাকে। আবহমান কাল থেকে পল্লী চিকিৎসার উপরে ভিত্তি করেই সমগ্র দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য সেবা পরিচালিত হয়ে আসছিল। এত ডিগ্রিধারী ডাক্তার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বেচ্ছায় চিকিৎসা দিতে কেউই যায় না। এখনো যায় না। এই পল্লী চিকিৎসকদের কোয়াক ডাক্তার হিসেবেও জনশ্রæতি রয়েছে। চিকিৎসকদের সিঁড়ি পার করে জনগণ সরকারি জেনারেল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সুলভ আচরণ না পাওয়ার কারণে বেসরকারি চিকিৎসালয় গুলোতে গিয়ে থাকে। সাধারণ জনগণ চিকিৎসার বহুমুখী পদ্ধতির অনিয়মের বেড়াজাল সবাই বুঝতে পারে না যার ফলে বাংলাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা জেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে এই সকল মালিকানাধীন চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো। যার দ্বারা জনগণের সেবার নামে জনগণকে কুক্ষিগত করে অর্থ হাতানোর পায়তারা। ১ সেপ্টেম্বর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে মতলবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিলগালা। এ সকল প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপন প্রক্রিয়াতে যেমন চিকিৎসার কথা উল্লেখ থাকে বাস্তবে এ সকল বিষয়গুলোর অনেক কিছুই অনুপস্থিত। যার ফলে রোগীদের সাথে এক ধরনের ছলনা আর প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর এ বিষয়টি গুরুত্বের সহিত নিয়ে যথোচিত আরও জোরদার ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে মনে করছে এলাকার সুশীল সমাজ। বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্যমান রয়েছে। সে সকল বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নজর রাখছে। দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আইনি প্রশাসন ঝটিকা তল্লাশির মাধ্যমে অনিয়ম থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।