মো. হোসেন বেপারী:
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীকে প্রেমিক-প্রেমিকা ভেবে বাকবিতন্ডা ও পরে ওই বাকবিতন্ডার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আহতরা হলেন: ৭নং ওয়ার্ড পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির জামাতা সাজ্জাদ হোসেন লিটন (২৫), তার স্ত্রী পিংকি আক্তার (১৯), পিংকি আক্তারের বাবা বিল্লাল হোসেন (৫০), মা নয়ন বানু (৪৫), ভাই সাগর হোসেন (২৬), চাচা ইকবাল হোসেন (৫৫), মজুমদার বাড়ির মুরাদ মজুমদার (২০), আফছানা আক্তার (১৫), কুমিল্লার সাকিব (১৮) ও প্রতিপক্ষের ৮নং ওয়ার্ড হরিপুর গ্রামের শাকিল হোসেন (২০) ও তার আরেক ভাই। আহতরা সবাই হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।
স্থানীয়রা জানান, হরিপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির সামনে দিয়ে পিংকি আক্তার ও তার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন লিটন হাতে হাত রেখে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। এসময় ওই বাড়ির বাসিন্দা শাকিল তাদেরকে দেখে প্রেমিক-প্রেমিকা ভেবে গতিরোধ করে। বাড়ির সামনে দিয়ে এভাবে হাটতে নিষেধ করে। এসময় উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বাকবিতন্ডার জেরে উভয় পক্ষের মাঝে হামলার ঘটনা ঘটে।
পিংকি আক্তার ও তার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন লিটন বলেন, দাদী মারা গেছেন। তাই সোমবার চারদিনের মিলাদের আয়োজন করা হয়। চাচার বাড়িতে যাওয়ার সময় হরিপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির সামনে আমরা স্বামী-স্ত্রী হাতে হাত রেখে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। এই সময় ওই বাড়ির শাকিল আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে হামলার ঘটনায় পিংতি আক্তারের মা নয়ন বানু বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে হরিপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির দুলাল পাটোয়ারী (৬৫), তার ছেলে শাকিল হোসেন (২০), সাইফুল (২৫), মো. হাসান (৩৫), মোহাম্মদ হোসেন (৩০), মো. ইউসুফ (২৮)সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন সহ বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে দুলাল পাটোয়ারী বলেন, তারা বিচার চাইতে এসে আমার ছেলে শাকিলকে মারধর করে। এতে উভয়পক্ষ মারামারি শুরু হয়। তারা আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। পরে শাকিল বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে রাজু ও জসিমসহ পাঁচজনের নাম এবং অজ্ঞাত ৯ জনকে বিবাদী করেন তিনি।
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিরা ও ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আকতার হোসেন জানান রাতে হামলার ঘটনায় ১০ জন আহত হয়। দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় দুই পক্ষই জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে। পরে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুছ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবাইর সৈয়দ বলেন, রাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দুই পক্ষের অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলছে।