চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। কর্মনিষ্ঠ, সৎ, আদর্শ, নিষ্ঠাবান ও বিনয়ী মানুষ। চাঁদপুরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বিপদে পড়া মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার নির্ভরযোগ্য পথ নির্দেশক। চাঁদপুর জেলায় ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে। সকল ধর্ম-বর্ণ শ্রেণী পেশাকে হার মানিয়ে তার কর্ম এবং মোহনীয় গুণে জয় করে নিয়েছেন জেলার সকল শ্রেণী পেশা মানুষের হৃদয়। জায়গা করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ের অন্তরস্থলে। স্বচ্ছ মনের অধিকারী এই মানুষটি প্রচন্ড পরিশ্রমী এবং মেধাবী। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সুখী একজন মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। দুই দুইবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২৬ তম বিবিএস দিয়ে শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করলেও ২৭ তম বিবিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের চাকরি করেন। সাম্প্রতিক তার প্রশাসনে চাকরি হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। সহজ-সরল জীবন যাপন করা গুনী এই মানুষটির জীবন-কর্ম-স্বপ্ন, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্য কল্পনা নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক শপথ-এর স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ শাওন।
-চাকরি জীবনের ১৩ বছর পূর্ণ হলো, অনুভূতি কি কেমন?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আমরা যেহেতু প্রশাসনে চাকরি করি, দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে কাজ করতে হয়। বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হয়। আমি যদি ন্যায়ের পক্ষেও থাকি একপক্ষ কিন্তু অসন্তুষ্ট থেকেই যায়। সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারি নাই। সেই ক্ষেত্রে বলতে পারি সব জায়গায় সুখের ইতিহাসও আছে দুঃখের ইতিহাসও আছে। তবে সুখের ইতিহাসটাই বেশি। সব মিলিয়ে বলতে পারি আমি চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট।
-শিক্ষকতা সম্মানের পেশা। তবে এ পেশায় কেন?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : প্রশাসনে চাকরির আগে আমি ২০০৬ সালে ২৬ তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই। তিন বছর শিক্ষকতা করি। এরমধ্যে ২৭ তম বিবিএসে আবেদন করি। যেহেতু আবেদন করছি তাই পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম। ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে রেজাল্ট দিলো, দেখলাম যে আমি প্রশাসেন ক্যাডারেও উত্তীর্ণ। তারপর পরিবার থেকে বলা হলো শিক্ষক তো তোর বাবাও ছিলো। তুই প্রশাসনে যা। এটাতে মানুষের বেশি উপকার করতে পারবি। বেশি কাজ করতে পারবি। পরিবারের চাপে পড়েই আসলে আমি শিক্ষকতা ছেড়ে প্রশাসনে যোগ দিলাম। তবে আমি কিন্তু মন থেকে এখনো শিক্ষকতাকে ভালোবাসি।
– দুইবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পেছনের গল্প বলুন।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আসলে পড়াশোনার বিকল্প তো কিছু নাই। পড়াশোনা করতে হবে। ভালো স্টুডেন্ট হতে হবে। তবে আমি ছিলাম বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র। প্রতি ক্লাসে ফাস্টবয়। এই বিজ্ঞান বিভাগটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাছাড়া আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অর্নাস মাষ্টার্স কমপ্লিট করেছি। এই ইংরেজি বিভাগটা আমাকে প্রচুর সাহায্য করছে। আরেকটা বিষয় আমাকে অনেক সাহায্য করেছে সেটা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন আমি প্রচুর টিউশনি করতাম। এতে অনেক বিষয়ে চর্চা হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বলা যায় বিজ্ঞান বিভাগ ইংরেজি বিভাগ এবং টিউশনি আর অল্প বিস্তর পড়াশোনা আমাকে বিবিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য খুব সাহায্য করেছে।
– কারা অনুপ্রেরণার অন্তরায়?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আমার জীবনের অনুপ্রেরণা আমার বাবা-মা। বাবা শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকের ছেলে হওয়াতে পড়াশোনার গুরুত্ব ছোটবেলা থেকেই বুঝতে পেরেছি। আর আমার মা পড়াশোনার বিষয়ে খুব কঠোর ছিলেন। ফলে পড়াশোনা একটু বেশি করতে হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকের ছেলে ছিলাম। পড়াশোনা খারাপ হলে বাবার মানসম্মান থাকবে না তাই বলা চলে আমার অনুপ্রেরণা আর আর্দশ আমার মা বাবা।
– তেরো বছর চাকরির জীবনের সবেচে বাজে অভিজ্ঞতা কী?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আসলে আমি যখন শিক্ষকতা করতাম। তখনও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতাম। এখনও সবার সাথে তেমন ব্যবহার করি। আমি কাজ করি জনপ্রশাসনে। তাই চেষ্টা করি আমার কাজগুলো জনমুখী করার জন্য। আমি আমার আন্তরিকতার মাধ্যমে মানুষের সাথে একটা ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করি। ফলে বলার মত তেমন কোন তিক্ত অভিজ্ঞতা নেই।
– প্রশাসনে চাকুরিরত অবস্থায় কি ধরনের প্রতিবন্ধতার সম্মুখীন হন?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আমাদের চাকরিটা অনেক বৈচিত্রময়। এতে করে চাকরির প্রতি আমাদের বিরক্তি কাজ করে না। তবে প্রতিবন্ধকতা ব্যাপক। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদেরকে আমাদের সামলাতে হয়। সে ওয়ার্ড মেম্বার হোক কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যান হোক কিংবা মেয়র। তারা চায় আমাদেরকে ক্ষমতা কিংবা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের মত করে চালাতে। কিন্তু সব কিছুরই তো একটা নিয়ম আছে। আমি নিয়ম মানতে চাই। তারা প্রভাব খাটাতে চায়। এই সব বিষয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
– জীবনের না পাওয়ার গল্প আছে?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আমার জীবনে খুব বেশি প্রত্যাশা নাই ছোট বেলা থেকেই। আমার মা যা রান্না করতো তাই খেতাম। বলতাম না যে আমার এটা খেতাম ইচ্ছে করে, ঐটা খেতে ইচ্ছে করে। এখনো আপনার ভাবি বলে কি রান্না করতাম। আমি বলি তোমার যা ইচ্ছে করো। এই স্টাইলটা আমার চাকরির জীবনেও আছে। যে চাকরি করে এটা করতে হবে, ঐটা করতে হবে, ডিসি হতে হবে এমনটা নয়। আমি মনে করি আল্লাহ আমার ভাগ্যে যা লিখে রাখছে তাই হবে। আর প্রত্যাশা কম থাকলে জীবনে সুখি হওয়া যায়। আমি উচ্চাকাঙ্খী না। আমি সাদাসিধা জীবন যাপন করতে চাই। চারটা ডালভাত খেয়ে জীবন কাটাতে চাই। তাই বলা যায় না? অতৃপ্তির কোন গল্প নাই।
শপথ ঃ জীবনের এমন কোন ঘটনার কথা বলুন যেটা মনে হলে আপনাকে অনেক আনন্দিত করে তোলে?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আনন্দ বলতে আমি পারিবারিক জীবনের খুব সুখী মানুষ। আমি যখন অনার্স ফাস্ট ইয়ার পড়ি তখন থেকে আপনার ভাবির সাথে প্রায় ছয় বছর সম্পর্ক ছিলো। আমি যখন প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পাই তখন বিয়ে করেছি। সেই ছাত্র জীবনের ভালোবাসার মানুষটি ভালোবাসে সেই সম্পর্কটাকে বিয়ে পর্যন্ত টেনে আনতে পেরেছি। এটাই আমার কাছে আনন্দের বিষয়। সফল একটি ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে পেরেছি৷
– চাঁদপুরের মানুষ সম্পর্কে বলুন?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : চাঁদপুরের মানুষকে আপনি যদি একটু আন্তরিকতা দেখান, দেখবেন তারা আপনাকে মাথায় তুলে নিবে। দশগুন বেশি ভালোবাসবে। এখানের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কোন মারামারি হানাহানি নাই। এখানের মানুষ খুবই সহযোগিতাপূর্ণ। গত আড়াই বছর চাঁদপুরে আছি। এখানে আমার কোন তিক্ত অভিজ্ঞতা নেই। সবাই আনন্দের এবং সুখের অভিজ্ঞতা। চাঁদপুরের মানুষ এত আপন করে আমাকে নিয়েছে, শুধু আমাকে না অন্য অফিসারদেরকেও। চাঁদপুরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
– চাঁদপুর জেলার কি কি সমস্যায় বিশেষ দৃষ্টি পড়েছে?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : চাকুরীর খাতিরেই চাঁদপুরে আসা। এর পূর্বে কখনো চাঁদপুর আসিনি। তখন আমার ধারণা ছিলো চাঁদপুর যেহেতু ঢাকার কাছাকাছি তাই চাঁদপুর অনেক উন্নত একটা জায়গা হবে। আমার প্রত্যাশা ছিলো একটা উন্নত চাঁদপুর দেখবো। কিন্তু বাস্তবে এসে চাঁদপুর যা দেখলাম এটা আমি আসলে প্রত্যাশা করি নাই। তবে এখন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় অনেক বড় বড় প্রকল্প এনেছেন। সবাই কাজ করছে। আশাবাদী চাঁদপুর আরো এগিয়ে যাবে।
– ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে আপনাদের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু বলুন।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : ইলিশ নিয়ে কাজ করা আমার নেশার মত হয়ে গেছে। আমি কুমিল্লার সন্তান। আমাদের কুমিল্লায় কোন নদী-টদি নেই। আমি যখন চট্টগ্রামের সন্দীপে শিক্ষকতা করতাম তখন বঙ্গোপসাগরে টানেল দিয়ে আসা যাওয়া করতে হতো। সেই থেকে নদীর প্রতি একটা টান তেরি হয়েছে। তারপর বরিশালে যখন ইউএনও হয়ে গেলাম আমার উপজেলার চর্তুদিকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার তেতুলিয়া নদী ছিলো। এই নদীতে প্রচুর মা ইলিশ থাকতো। আমি ইলিশ মাছ সংরক্ষণের অভিযানে যেতাম। সেখানে তিন বছর ইলিশ মাছ নিয়ে কাজ করার ফলে আমার নদী এবং ইলিশ মাছের প্রতি একটা টান তৈরি হয়ে গেছে। তারপর আমি বুঝতে পারলাম ইলিশ মাছ আমাদের মহা মূল্যবান সম্পদ। যা রক্ষা করা জরুরি। তারপর যখন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে আসলাম। সেই আগের ধারাবাহিকতায় মা ইলিশ সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি। আমি চাঁদপুরের রাজরাজেশ্বরে অভিযানে গিয়ে শারীরিক আঘাত পর্যন্ত পেয়েছি। এছাড়াও পটুয়াখালীতে একবার মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযানে গিয়ে জেলেদের আক্রমনের শিকার হয়েছি। আমি নদীতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। সারা রাত নদীতে ছিলাম। পরেদিন তো পত্র-পত্রিকায় এবং টিভিতে নিউজ প্রচার হয়েছে জেলেদের আক্রমনে বাউফুল উপজেলার ইউএনও নদীতে নিখোঁজ। পরে ভোর চারটার সময় ভোলার সীমান্ত থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে। তবে চাঁদপুরে বড় সফলতা হলো আমি আর এএসপি জাহেদ পারভেজ প্রায় সাড়ে ৭০০ মন ইলিশ মাছ উদ্ধার করেছি। যা এ যাবতকালের বিরল রেকর্ড। এটা একটা দূলর্ভ অভিজ্ঞতা।
– ইলিশ সংরক্ষণে বড় বাধা কি?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে বড় বাধা শুধু জেলেরা না। জেলেদের পেছনে কিছু মদদদাতা আছে। তারা জেলেদেকে নৌকা ও টাকা দেয়। যেটাকে ঋণ বা দাদন বলে। এই টাকা পরিশোধের জন্য বাধ্য হয়ে জেলেরা মাছ ধরেতে নদীতে নামে। এটাই মূল সমস্যা।
-অন্য কর্মকর্তাদের সাথে আপনার মৌলিক পার্থক্যের রহস্য কী?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আসলে এর কোন রহস্য নাই। মূলত আমার কাছে মানুষ খুব সহজে আসতে পারে। তাদের সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারে। আমি তাদের সমস্যাগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে শুনি। তাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলি। আমি উপকার করতে না পারলেও উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করি। আরেকটা বিষয় হলো আমার পোশাক। আমি যে পোশাক পরি একেবারে সাধারণ মানুষের মত। আমি যে ক্যাডার অফিসার সেই ভাবটা আমার মাঝে নাই। ফলে মানুষ আমাকে সহজেই আপন করে নেয়। তাদের মধ্যে একজন ভাবে এটাই।
– আপনি কেমন চাঁদপুর দেখতে চান?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আমি আরো উন্নত চাঁদপুর দেখতে চাই। আমি যখন পদ্মা মেঘনা দিয়ে ঘুরি তখন আমার কাছে মনে হয় কক্সবাজার থেকে চাঁদপুর কোন অংশে কম নয়। এখানে পর্যটন নিয়ে অনেক বড় উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এত সুন্দর একটা জায়গা চাঁদপুর। আপনাদের পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া। কি অসাধারণ জায়গা। মন মুগ্ধকর। আবার ডাকাতিয়া নদীকে যদি বড়স্টেশন থেকে ফরিদগঞ্জে যে অংশ সেই পর্যন্ত লন্ডনের টেমস নদীর মত দুই পাড় বেঁধে কালার ফুল লাইটিংয়ে করে মানুষের বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ ব্যবস্থা করা যেতো, তাহলে চাঁদপুরে প্রচুর পর্যটক আসতো। এছাড়াও চাঁদপুরের অনেকগুলো ছোটছোট চর আছে। এইগুলোকে যদি বিদেশি কিংবা দেশি বড়বড় কোম্পনির কাছে লিজ দিয়ে দেয় পর্যটন স্পট তৈরি করার জন্য, তাহলে চাঁদপুর কিন্তু সারা দেশের প্রধান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভব রয়েছে। আমার স্বপ্ন চাঁদপুর হবে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এখানে আধুনিক হোটেল মোটেল গড়ে উঠবে।
-দৈনিক শপথ পত্রিকা সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : দৈনিক শপথ পত্রিকা সম্পর্কে আমার ইতিবাচক ধারণা। পত্রিকাটি যখন সাপ্তাহিক ছিলো তখন সম্পাদক কাদের পলাশ আমাকে একটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেছিলেন। যেটা হলো সাংবাদিক গুনজন সম্মাননা। আমি প্রয়াত সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরীকে সাহেবকে ঐ সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়েছিলাম। তখন ভাবলাম যে পত্রিকা গুণীজনকে সম্মান করে। তারা নিশ্চয়ই ভালো হবে। তাদের পত্রিকা ভালো কিছু লিখবে। তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা লিখবে। দেশ এবং সমাজে কথা লিখবে।
– নিজেকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আসলে আমরা যে ক্যাডারে চাকরি করি। এই ক্যাডারের সবারই একটা স্বপ্ন থাকে সচিব হওয়া কিংবা ডিসি হওয়া। আমারও ইচ্ছা আছে ডিসি হওয়া। এতে মানুষের জন্য অনেক বেশি কাজ করতে পারবো। কোন সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নিতে পারবো ।
-আপনার আর কিছু বলার আছে?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান : আমি একটা কথা বলতে চাই। চাঁদপুরের সকল সাংবাদিকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাকে সব সময় সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আমাকে সাহায্য করেছেন। আপনাদেরকে ধন্যবাদ। চাঁদপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
আজ,
শনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।