কাদের পলাশ:
বর্ষপূর্তির আগের দিন এমন শিরোনাম কোনো পাঠকই প্রত্যাশা করেননি নিশ্চয়। শপথ হাঁটিহাঁটি পাপা করে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করবে কাল। জন্মদিনের আগেই সবাইকে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা। আমি বিশ্বাস করি শপথ পাঠকের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। অন্তত যারা নিয়মিত শপথ পাঠ করেন। দৈনিক শপথ বাদেও চাঁদপুরে আরো ১৭টি পত্রিকা প্রকাশ হয়। ৪-৫টি ছাড়া বাকীগুলো প্রকাশনায় ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না। ধারাবাহিকতা ধরে না রাখতে পারার কারণ হিসেবেই পাঠক দৈন্য বলতে চেয়েছি। কারণ জনগণ যদি স্থানীয় পত্রিকায় পড়তো পত্রিকাগুলো নিশ্চয় নিয়মিত প্রকাশ হতো। কারণ চাঁদপুরে প্রায় ২৮লাখ মানুষের বসবাস। ২৮লাখ থেকে মাত্র ২৮হাজার মানুষও যদি একটি করে পত্রিকা কিনতো নিশ্চয় স্থানীয় পত্রিকাগুলো প্রকাশনার ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্নতা ধরে রাখতে পারতো। আমরা সৌভাগ্যবান যে দৈনিক শপথ পাঠক সাদরে গ্রহণ করেছে। ভালোবেসেছে বলেই আমরা অব্যাহত প্রকাশনা ধরে রাখতে পেরেছি। অবশ্য অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, স্থানীয় পত্রিকাগুলো সংবাদ ও লেখার মান ধরে রাখতে পারেনি। তাই পাঠক মুখ ঘুরিয়ে নেয়। তথাপিও একটি পত্রিকা মাত্র তিন টাকা। মাসে মাত্র ৯০টাকা। যা একজন পাঠকের কাছে কোনো ভাবেই বেশি নয় বলেই বিশ্বাস করি। একজন পাঠকের কাছে ৯০টাকা কম হলেও পত্রিকার জন্যে একজন একজন করেই হাজার হাজার পাঠক হয়। মাত্র ২-৩হাজার পাঠক হলেই যে কোনো স্থানীয় পত্রিকা তাদের নিয়মিত প্রকাশনা ধরে রাখতে পারে। এছাড়া যারা নিজের ও প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্যে বিলবোর্ড ফেস্টুন ব্যানার ঝুলায় তারাও ইচ্ছে করলে পত্রিকাগুলোকে টার্গেট করতে পারে। প্রণোদনা হিসেবে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। কারণ বিলবোর্ড ফেস্টুন ব্যানার প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্যতা নষ্ট করে। অর্থাৎ ইচ্ছে করলেই নিজনিজ অবস্থান থেকে স্থানীয় পত্রিকার পথচলায় নিজেকে সামিল করা যায়। কারণ পত্রিকা হচ্ছে শিল্প। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি কাগুজে পত্রিকা শিল্পকে রক্ষা করতে স্বস্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবে চাঁদপুরবাসী। আর যারা পত্রিকার জন্যে কিছু করার সক্ষমতা রাখেন তাদের মানসিক দৈন্যতা কাটলে স্থানীয় পত্রিকার দৈন্যতাও কেটে যাবে; যা আমি হলফ করে বলতে পারি। দৈনিক শপথ দুইবছর পূর্তি হবে কাল। করোনাকালীন সময়ে দৈনিক শপথ একদিনের জন্যেও প্রকাশনা বন্ধ রাখেনি (সরকারি বন্ধ ব্যাতিত)। দৈনিক শপথ-এর পথচলা শুরু হয়েছে পিচ্ছিল পথে। এ পিচ্ছিল পথে নোখ টিপেটিপে হাঁটার চেষ্টা করেছে। দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। নিশ্চয় একদিন পৃথিবীতে করোনার প্রভাব কমে যাবে। ততোদিনে আমরাও হাঁটার বদলে দৌঁড়াতে পারবো। পাঠকও নিয়মিত পাবেন তরতাজা খবর। আমরা এখনও চেষ্টা করছি তরতাজা ও ব্যাতিক্রমী নিউজ প্রকাশ করার। প্রকাশ করছিও। প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে এতোদিন মানুষের ভালোবাসা যেভাবে পেয়েছি আগামী দিনেও পাবো বলে বিশ্বাস করি। দৈনিক শপথের জন্মদিন উপলক্ষে সকল পত্রিকা বিলিকারক, পাঠক, বিজ্ঞাপন দাতা, শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাক্সক্ষীকে জানাই অগ্রীম শুভেচ্ছা। শপথের সাথে থাকুন ভালো থাকুন।