ফাহাদ খান ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে স্কুল ব্যাগে সার্ট রাখায় সাব্বির হোসেন পাবেল নামে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক। গত ৩১ অক্টোবর রোববার উপজেলার দেইচর মডেল একাডেমি স্কুলে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও থানার পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে।
জানা যায় জানা যায়, সাব্বির হোসেন পাবেল নামের ১০ম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীর স্কুল ব্যাগে তল্লাশী করে অতিরিক্ত একটি শার্ট থাকায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক রাকিব তাকে বেত দিয়ে বেদম প্রহার করে। পরে শিক্ষার্থী পাবেলকে গুরুতর আহতবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সোমবার দুপুরে চান্দ্রা ইমাম আলী স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাফিজ ও সিয়ামসহ ৮/১০জন শিক্ষার্থী তাদের সহপাঠী পাবেলকে দেখতে যায়। যাওয়ার পথে পাইড পিটার কাজের ৩ শ্রমিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ৩ শ্রমিক ও ৩ শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৬জন আহত হয়েছে। মারামারির খবর পেয়ে থানা পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার শাহ-আলী রেজা আশরাফীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেখানে উপস্থিত হন। পরে উপস্থিত উভয় পক্ষের অভিবাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে আহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন পাবেল জানায়, আমি সকালে প্রাইভেট পড়তে স্কুল ড্রেস ব্যতীত একটি শার্ট গায় দিয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় স্কুল ড্রেসের শার্টটি ব্যাগে করে নিয়ে গিয়েছি। প্রাইভেট পড়ে আমি সরাসরি স্কুলে চলে আসি এবং স্কুল ড্রেসের শার্টটি পরিধান করে অন্য শার্টটি খুলে ব্যাগে রেখে দেই। প্রধান শিক্ষক আমার ব্যাগ তল্লাশী করে শার্টটি দেখতে পেয়ে আমাকে বেদম প্রহার করতে থাকে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমি তাকে মেরেছি, তবে এতটুকু আহত হবে, আমি বুঝতে পারিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ আলী রেজা আশ্রাফি জানান, আমি ঘটনা সম্পর্কে জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। তার ভেতর আরো একটি ঘটনা ঘটে যায়। আমি সকল বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদা সুলতানা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।