সম্পাদকীয়
সমাজ সেবা অধিদপ্তর সরকারের বিশাল জনগোষ্ঠীকে তত্ত¡াবধায়ন করে থাকে। তবে এই দপ্তর অনুমোদন সাপেক্ষে সমাজ সেবা সংগঠন সৃষ্টিতে কাজ করে। দেশে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার এনজিও সংগঠন হয়েছে যা সমগ্র বাংলাদেশকে জালের মতো ঘিরে রেখেছে। কিন্তু এসব সংস্থা অনেকেই রুরাল ডেভেলপমেন্ট করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তথাকথিত উন্নয়নের কাছে পাড়ি জমিয়েছে। কিন্তু সেবাদানের প্রত্যয়ে এগিয়ে আসলেও কিছু কিছু সংস্থা ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তিকে মারাত্মক ভাবে হেনস্থা করে অমানবিকভাবে। ১১ এপ্রিল দৈনিক শপথে প্রকাশ কিস্তি অনাদায়ে মা সহ ৩ বছরের শিশুকে আটকে রাখা হয়। এটাই শুধু নয় আরো বহুমুখী নির্যাতন চালান হয়। যা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আসলেও অনেক ঘটনা চুপসে যায়। এটাই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের বাস্তবায়ন। এমনকি বাস্তব এটাই চিত্র। এদের ঋণে বেশি বেশি লোক ঋণের অতল গভীরে ডুবে থাকে। বংশগতভাবে এবং জন্মে ঋণের খাতায় নামটাও লেখা থাকে। দেশের জনপ্রতি অর্থনৈতিক প্রতিচ্ছবি এদের থেকে সমীক্ষা শুরু করলে দেখবেন কেউ ভালো নেই। যারা ঘুরিয়ে পেচিয়ে ঋণের বেড়াজালে অন্যদের জড়ায় মানে চাকুরী করে এরাও ভালো নেই। সমাজ কাঠামোয় সেবার বহুমুখী পদক্ষেপ রয়েছে তবে এসব ঋণদাতা সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় এনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সচেতন মহলের একান্ত দাবি।