মেহেদী হাসান দিপু, ঢাকা:
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের চলাচল ছিলো স্বাভাবিক এবং অনেকেই মানছেন না নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব এবং ব্যবহার করছেন না মাস্ক। মানুষের এই অসচেতনতার দরুণ লাগামহীন ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস (ঈঙঠওউ-১৯)। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছেন ২হাজার ৫৪৫ জন। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী মোট ৫২ টি ল্যাবরেটরি হতে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করা হয়। প্রেস ব্রিফিং এর তথ্য অনুযায়ী গত দিনগুলোর তুলনায় ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪০ জন এবং সর্বমোট মারা গেছে করেছেন ৬৫০ জন। সারাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ হাজার ১৫৩ জনে। তথ্যটি ৩১ মে (রবিবার) দুপুর আড়াইটার সংবাদ ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
মৃত্যু বিশ্লেষণে তিনি বলেন, মৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন এবং নারী ৭ জন। বয়স বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের ১জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের ১১ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের ৪ জন। যায় তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, খুলনায় ২ জন, রাজশাহীতে ১ জন এবং রংপুর বিভাগের ১ জন। প্রেস ব্রিফিং এর তথ্য অনুযায়ী ৫২ টি ল্যাবরেটরি থেকে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২২৯ টি এবং পূর্বের কিছু নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬ টি। এই পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন এবং সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন। নতুন করে ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৩৯১ জন এবং গত ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সর্বমোট আইসোলেশনে আছেন ৫ হাজার ৭৯৪ জন। এর মধ্যে নতুন করে ছাড় পেয়েছেন ১২৬ জন এবং সর্বমোট আইসোলেশনে থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। সারাদেশে আইসোলেশনে শয্যা সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪ টি। যার মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে আছে ৭ হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাহিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ৬ হাজার ৩৪ টি। নতুন করে ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ২ হাজার ৯৪৭ জন এবং কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩হাজার ৪২ জন। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী সর্বমোট কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ১ শত ৭২ জন এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী সর্বমোট কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৯১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬০ হাজার ১৮১ জন। তাছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্তাবধানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত আছে এবং হট লাইন নাম্বারের মাধ্যমে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসেবামূলক পরামর্শ দেয়ার কাজ ২৪ ঘন্টা চালু বলে নিশ্চিত করা হয়।
ব্রিফিংয়ের আরা জানানো হয়, তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী সুস্থতার হার ২০.৭৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৮ শতাংশ। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনলাইন মুক্তপাটে হট লাইন সেবায় নিয়োজিত আছেন ১৬ হাজার ২৩৭ জন চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাভিত্তিতে সেবা দিচ্ছেন ৪ হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক। তাছাড়াও স্ক্রিনিং কার্যক্রম বিমানবন্দর, স্থলবন্দর এবং সমুন্দ্রবন্দরে অব্যাহত আছে। ৩ বন্দরে গত ২৪ ঘন্টায় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ১৬২২ জনকে। এর মধ্যে বিমানবন্দরে ১২৭২জন, স্থলবন্দরে ২৮৫ জন এবং সমদ্রবন্দরে ৬৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারণকে িি.িফমযং.মড়া.নফ এই ওয়েবসাইটে দেয়া লকডাউন পরর্বতী সকল স্বাস্থ্যবিধি এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য সকল নিয়মসমূহ মেনে চলার জন্য এবং সকল স্থানে পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার ব্যাপারে কঠোর ভাবে বলা হয়। লকডাউন খুলের দেয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় এবং করোনা পরিস্থিতিতে ধুমপানে দ্বিগুণ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়, তাই ওঊউঈজ কর্তৃক ধুমপান থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।