মোঃ মজিবুর রহমান রনি:
হাজীগঞ্জে সরকারি খাস জমি দখল করে সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি গাজী নুর আহম্মেদ গংদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নোয়াদ্ধা গ্রামের জোরপূর্বক সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমি দখল করেন তিনি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ২৪২নং রায়চোঁ মৌজার সাবেক ১৬৯ হাল দাগ নং ২৫৫নং দাগের সরকারি হালটে খাস খতিয়ানভূক্ত ভূমি দখল করে। নোয়াদ্দা মৌজার এই সরকার হালটের ওপর দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সরকারি টি.আর প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দে রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেয় গাজী নুর আহম্মেদ গংরা।
নোয়াদ্দা মানিক মিয়ার বাড়ি থেকে পলিটেকনি ইনস্টিটিউট স্কুল এন্ড কলেজ পর্যন্ত চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হয় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সরকারি সফরে আসলে ভূমি দস্যু গাজী নুর আহম্মেদ এর মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে লিখিত অভিযোগ করেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ পর্যন্ত শ্রমিক লীগ নেতা গাজী নুর আহম্মেদের ১৫টি মামলার শিকার হয়েছে নোয়াদ্দা গ্রামের অসহায় দরিদ্র সাধারণ মানুষ। সরকারি হালটের উপর রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
সরকারি হালটের খাস খতিয়ানে ভূমিহীন হিসেবে লিজ নেয়ার কথা বলে জোরপূর্বক দখল করে আছে সে। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং থানায় একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মানিক মিয়া বলেন, সরকারি হালটের উপর জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি জায়গার উপর রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে হামলা করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা এ বিষয়ে এমপি স্যারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গাজী নুর আহম্মেদ বলেন, আমি সরকার থেকে এ জায়গা কিনে নিয়েছি। বহুবার সালিশ দরবার হয়েছে। এ জায়গার কাগজপত্র আমার কাছে আছে এবং কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। রাস্তা নির্মাণ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে ১ লক্ষ টাকার চাঁদা চেয়েছে। ওই সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান নিরব ভূমিকা পালন করে।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এমপি মহোদয়ের নির্দেশে একটি সরকারি বরাদ্দে রাস্তার মাটি কাটা হয়। রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে একটি পক্ষ বাঁধা দেয়। এ নিয়ে বহুবার দেন-দরবার হয়েছে। চাঁদা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। এমপি মহোদয়ের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে কেউ এ নিয়ে মন্তব্য করলে কিছুই করার নাই।