চাঁদপুর পৌরসভায় ১৫ ওর্য়াডের কাউন্সিলের মধ্যে এক ভিন্ন বৈশিষ্টের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান দর্জি। যিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে সর্বদা মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ওয়ার্ডের মানুষের ছোট বড় সমস্যায় পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। তাইতো এ ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ দলমত নির্বিশেষে হাবিব দর্জিকে একটু ভিন্ন চোখে দেখেন। ১৯৮৪ সালে শহরের গণি আদর্শ স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও কখনো পদপদবীর লোভ করেননি। তারপর পড়ালেখার চেয়ে ব্যবসার প্রতি বেশি মনযোগী হন। গুণরাজদী এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সদস্য আবদুল গণি দর্জি ও মোসাম্মৎ ফিরোজা বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে হাবিবুর রহমান সবার বড়। তিনি ২০১৫ সালে ২৯ মার্চ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বর্তমানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বাকী তিন ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যবসা করছেন। একভাই আমেরিকা প্রবাসী। এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে হাবিবুর রহমানের ছোট্ট সংসার। সম্প্রতি তার মুখোমুখি হয় সাপ্তাহিক শপথ। তা পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো।
সাপ্তাহিক শপথ : প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন করেছেন?
হাবিবুর রহমান দর্জি : প্রতিশ্রুতি যা দিয়েছি সবটুকুই পূরণের চেষ্টা করেছি। সড়ক উন্নয়ন, ড্রেন উন্নয়ন, দুস্থ মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমার ওয়ার্ডের ফুটপাতগুলো মেরামত ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মানুষের নিত্য সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি। এসব সমস্যা সমাধানে বর্তমান মেয়র নাসিরউদ্দীন সাহেব খুব আন্তরিক ছিলেন। তাই নিরসণের চেষ্টা সফল হয়েছে। মেয়র খুব ভালো মানুষ তিনি কাউকে খালি হাতে ফেরান না। ১২নম্বর ওয়ার্ডের জন্যে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।
সাপ্তাহিক শপথ : বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে আপনি মনে করেন?
হাবিবুর রহমান দর্জি : শহরের যানজট একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। এজন্যে রেল লাইনের দক্ষিণ পাশের সড়কটি দ্রুত করা উচিৎ। এতে শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। এ সড়কটি পূর্বে দিকের পৌরবাসীর যাতায়াত ও জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সাপ্তাহিক শপথ : আপনার এলাকার বিশেষ কি কাজ করেছেন ?
হাবিবুর রহমান দর্জি : আগে এই এলাকায় চুরি ছিনতাই হতো। মাদকের প্রাদুর্ভাব ছিলো। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আমার ওয়ার্ডে তা নির্মূল করতে পেরেছি। মানুষের সমস্যা ঘরে ঘরে গিয়ে শুনেছি। বয়স্কভাতা, মাতৃত্বকালীনভাতা, দুগ্ধভাতা, বিধবা ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে সমান দৃষ্টি রেখেছি। কাউকে ঠকাইনি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও করতে চাই।
সাপ্তাহিক শপথ : বিভিন্ন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ শোনা যায়। আপনার বিরুদ্ধে তেমনটি শোনা যায় না কেন?
হাবিবুর রহমান দর্জি : সততা মানুষকে অনেক শক্তি দেয়। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। প্রতারক, চিটার, বাটাপার হলে মানুষের ধিক্কার সহ্য করতে হয়। কখনো কখনো ক্ষমতায় থাকলে মানুষ তা প্রকাশ করে না। কিন্তু সুযোগ পেলে অবশ্যই মানুষ তার সঠিক জবাব দেয়। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পারে কিন্তু তা কতটুকু সত্য তা সময় সাপেক্ষে ও বিচারিক বিষয়।
সাপ্তাহিক শপথ : আগামী নির্বাচনে আপনার বিশেষ কি পরিকল্পনা আছে?
হাবিবুর রহমান দর্জি : দিন যতো সামনে যায় মানুষের চাহিদারও পরিবর্তন হয়। আপতত সময় বলে দেবে এবং সমস্যা নির্ধারণ করে অবশ্যই পরিকল্পনার চক আঁকবো। তবে বলে রাখি, ওয়ার্ডের প্রতিটি মহল্লার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। আর নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীরই বিশেষ পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু তা প্রকাশের বিষয় না।
সাপ্তাহিক শপথ : জনগণ আপনাকে ভোট দেবে কেন?
হাবিবুর রহমান দর্জি : আমার সততা ও আন্তরিকতার কারণে। আমি কখনো আমার এলাকার মানুষের সাথে দ্বৈতনীতি প্রয়োগ করিনি। কারো সাথে কথা দিয়ে কথাভঙ্গ করিনি। আমি স্বজ্ঞানে কারো কোন ক্ষতি করিনি। চেষ্টা করেছি সবসময় মানুষের উপকার করতে পাশে থাকতে।
সাপ্তাহিক শপথ : নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্যতা কি?
হাবিবুর রহমান দর্জি : আমি বাচাল নাই। অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় কথা আমি বলতে পারি না। কথা কম বলার চেষ্টা করি। যা বলি কাজের কথা বলি। হয়তো অনেক সময় কথার খেই হারিয়ে ফেলি। কিন্তু আমি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে কেউ কেউ আমার উপর রাগ হতে পারেন। কিন্তু এতে আমার কিই বা করা থাকে? আমিতো মানুষটাই এমন।
সাপ্তাহিক শপথ : ভোটারদের কাছে প্রত্যাশা কি?
হাবিবুর রহমান দর্জি : ভোটাররা যেন তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করে। তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পারে সাধারণ মানুষ। তাই আমি চাইবো সাধারণ মানুষ যেন সমাজ সচেতন হয়।
সাপ্তাহিক শপথ: সময় দেয়ার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছ।
হাবিবুর রহমান দর্জি: শপথ এগিয়ে যাক আপন আলোয়। ধন্যবাদ।
আজ,
শনিবার , ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।