মোঃ হোসেন বেপারী:
১৭ বছর মালদ্বীপে ছিল আল-আমিন। ছুটিতে আসেন দেশে। ছুটি শেষে যাবার বেলায় বিমান বন্দরে গিয়ে আর প্লেনে উঠা হয়নি। যেতে হয়েছে শ্রীঘরে। মালদ্বীপে তার এক সহপাঠী মানিকের একটি পার্সেল ছিল তার ব্যাগে। সেই পার্সেলে মিলল ইয়াবা। যদিও কোন কিছুই জানতেন না আল আমিন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় আল আমিন। কখনও সিগারেটও পান করেনি। অথচ সেই আল আমিনকে ইয়াবা পাচারের দায়ে যেতে হয়েছে জেলখানায়। চার মাস জেলখানায় থাকার পর জামিনে এসে বাড়িতে কাটছে দিন।
আল আমিনের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলা ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পশ্চিম হাটিলা গ্রামে। সে ওই গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির সিরাজুল হকের বড় ছেলে। আল আমিন মালদ্বীপের রাজধানী মালে একটি গাড়ীর গ্যারেজে কাজ করতেন।
জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, কুমিল্লা বুড়িচং এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে সুফিয়ান বিমান বন্দরে গিয়ে পার্সেলটি তাকে দেয়। ওই পার্সেলটি মালদ্বীপে গিয়ে সহকর্মী মানিককে দেয়ার কথা। কিন্তু সেই পার্সেলের ভেতরে ইয়াবা তা জানা ছিল না। তাদের কারনেই এখন মালদ্বীপ যাওয়া বন্ধ আমার।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, বাংলাদেশ-মালদ্বীপের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে আল আমিনের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হোক। একই সাথে ইয়াবা প্রেরণে অভিযুক্ত সুফিয়ান ও মানিককে দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চান তারা।
এদিকে আল আমিনের বাবা সিরাজুল হক বলেন, ছেলের আয়ের উপর নির্ভর পুরো পরিবার। সেই ছেলে এখন বেকার। তাই তার পুরো পরিবার দিনাদিপাত করতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে আল আমিন যেন দ্রæত মালদ্বীপ যেতে পারে সেই জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।