সম্পাদকীয়
সরকারের জনগণের প্রতি বাধ্যবাধকতা এখন আর নেই। জনগণ এখন সরকারের বাধ্যবাধকতার জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতি সমগ্র বাংলার আনাচে-কানাচে বিরাজমান। সরকার দলীয় সমর্থনে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাপকভাবে অপ্রকাশিত কাজকর্ম অপরাধ জগতের বহুমুখী জীবন যাপন কোন অপরাধই নয়। এছাড়াও জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নেয়ার পরে আলোচিত সমালোচিত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আওয়ামী লীগ হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ করার কারণে টাকা পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের চিন্তা করতে হচ্ছে না টেনশন করতে হচ্ছে না এমন নজরও রয়েছে। এখন এটা কি সরকারের সমস্যা নাকি সরকার দলীয় লোকের সমস্যা নাকি সাধারণ জনগণের সমস্যা। এমন কোন বিষয় নেই মানুষের জীবনযাত্রার ষষ্ঠ চাহিদার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে গেছে। জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে এমন জীবন ধারণকারী মানুষদের সরকার গৃহহীনকে ঘর দেবে, দেন দিয়েছেন দেবেন কিন্তু এ সকল দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক তদন্তের রিপোর্ট কেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পৌঁছায় না। কেন সরকার ঘোষিত কাজ কর্মের প্রকল্পের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের তথ্য হালনাগাদ করা হয় না। যদি তথ্য হালনাগাদ করা হতো পর্যালোচনা করা হতো পর্যবেক্ষণ করা হতো এবং উপযুক্তভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করত তাহলে তো দৈনিক শপথ পত্রিকায় ১৩ সেপ্টেম্বর এমন খবর প্রকাশ হতো না। যেটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ঘর নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন এক অসহায় নারী। এখন দেশের সরকার প্রধান ঘোষণা করবে যেকোন বিষয় সেটা বাস্তবায়ন করবে সরকার অধীন বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন অধিদপ্তর। কিন্তু কিছু স্থায়ী কিছু অস্থায়ী সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে এ সকল পদক্ষেপ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। কিন্তু যে খবর এই পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে সেটা বড় দুর্বিষহ বেদনাদায়ক। সরকার ঘর দেবে বিনামূল্যে এটা সরকারি দপ্তরের সকলের জানা এবং স্থানীয় সরকারি দপ্তরের তাদেরও জানা। ৩০ হাজার টাকা দাবি করে বসে নারী থেকে। নারীর আবেদনের ভিত্তিতে ঘর পাওয়ার আশায় নারীর কথিত বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসলো দশ হাজার টাকা দেয়া হল। কাজ শুরু হলো মাঝপথে কাজ থামিয়ে রেখে আবারো ১০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বললে ওই অসহায় নারী আবারও যেকোনো মূল্যের জোগাড় করে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। এখনো তার ঘরের কার্যক্রম শেষ হয়নি। বর্তমান অসহায় নারীর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে যে আমার টাকা পরিশোধ করে দিক সরকারের ঘর আমার প্রয়োজন নেই। আমার ভাঙ্গাচুরা নিজের যে ঘর ছিল সেই ঘরটাও ধ্বংস করে ফেলেছি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়ার জন্য। এখন যেভাবে আমার ঘরটাকে রেখেছে এটা থেকে আমার ঘর নাই সেই হিসেবে থাকাই ভালো। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় নারীর প্রতি প্রশাসনের এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর গুরুত্ব দেবে বলে সচেতন মহলের দাবি।