স্টাফ রিপোর্টার :
সারাদেশে সরকারি ইজারালব্ধ আয় থেকে চিকিৎসার জন্যে মুক্তিযোদ্ধারা আর্থিক অনুদান পাবেন। গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ রোববার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিসের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। ৪৮.০০.০০০০.০১০.৩৩.০২৬.১৯-৩৪০নং স্মারকে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের ৪% অর্থের তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান সংক্রান্ত নোটিস মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। প্রথমবারের মতো চাঁদপুর জেলার হাইমচরে ৫০ হাজার ও ফরিদগঞ্জের জন্যে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের ৪% অর্থহারে বাষট্টি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবার লক্ষ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করে। যার স্মারক ৪৮.০০.০০০০.০১০.০২.০০৬.১৫-৩৬৯।
২০১৮ সালের ২২ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুসারে বর্ণিত জেলা/উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারি হাসপাতালের নামের পার্শ্বে প্রদর্শিত অর্থ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে প্রদান করা হয়। এর মধ্যে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ০৮৫১৪৮০ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ০৮৫১৮৪১ নম্বর চেকে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নীতিমালায় ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : যদি অব্যয়িত অর্থ থাকে তবে তা ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যাংক একাউন্ট (সঞ্চয়ী হিসাব নং- ০২০০০০০১২১১০৫২, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জাতীয় প্রেসক্লাব শাখা/সঞ্চয়ী হিসাব নং-০৩৪১৯১৫৫৪ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, রমনা করপোরেট শাখা ঢাকা) ফেরত প্রদানপূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ পরবর্তী অর্থবছরেও ব্যয় করা যাবে তবে সেক্ষেত্রে অব্যয়িত অর্থের পরিমাণ উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদন এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে; বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট খাত ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। হাসপাতালে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জন্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহসহ সর্বোত্তমভাবে সকল চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সকল ধরনের চিকিৎসা পরামর্শ, শল্য চিকিৎসা, হাসপাতাল কর্তৃক সরবরাহযোগ্য ঔষধ, বেড সরবরাহ, পথ্য ও নার্সিং ইত্যাদি চিকিৎসাসেবার অর্ন্তভুক্ত হবে।