স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদগঞ্জের ১২৩নম্বর পশ্চিম রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে চল্লিশ বছর ধরে ব্যবসা করেন বজলুল হক। বয়স সত্তরের কাছাকাছি। পশ্চিম রূপসা বেপারী বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের চার ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বজলুল হক সবার বড়। দুই ছেলে এক মেয়ের জনক তিনি। দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। মেয়ে স্বামীসহ রাজধানী ঢাকা থাকেন। সম্প্রতি তার সাথে কথা হয় সাপ্তাহিক শপথ এর এ প্রতিবেদকের সাথে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় রূপসা হাইস্কুল মাঠে ট্রেনিং নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছি। এখন এসব বলে লাভ কি?
চল্লিশ বছর ব্যবসা করছি। এরশাদের আমালে ব্যবসা বানিজ্য ভালো হইছে। সে সময়ের সাথে এখন রাইতে দিনে ব্যবধান যোগ করেন বজলুল হক।
তিনি বলেন, বাবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে কাজ করেছে। বাবা কখনো উপরি ইনকাম করে নাই। আমরাও এসব শিখি নাই। তাই ছেলেরা ঠিক মতো প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।
দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে বজলুল হক বলেন, সারা দেশে নাকি উন্নয়ন হচ্ছে। অথচ এদিকে কোনো উন্নয়ন দেখি না। দেশের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না তিনি। তবে তরুণদের দেশ নিয়ে ভাবনার সময়। আমাদের বয়স হয়েছে আমাদের মতো মানুষের এখন সময় কই? থাকি। একসময় ভাই ব্রাদার ছিলো। এখন বন্ধুবান্ধব না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নাম জানলেও অন্য কোনো মন্ত্রীর নাম বলতে পারলেন না। তিনি বলেন, দেশ কিভাকে চলে আল্লাহ ভালো জানে। আমি সেই খবর রাখি না। দেশের খবর রাখার প্রয়াজন আছে। কিন্তু সময় যে পাই না। ভোর থেকে কাজ শুরু করি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কর্ম। একটু অবসর থাকলে দেশ নিয়ে আলাদাভাব ভাবতে পারতাম।
একসময় দেশ নিয়ে অনেক ভেবেছি। এখন আর সময় পাই না। এটা আমার ভাগ্যের দোষ। কারণ এ বয়সে কর্ম করে খাওন লাগে। তবে সময়কে দোষ দিয়ে কি লাভ?
আজ,
সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।