সমাজকে রক্ষা করা সমাজের সকল নৈতিক মনভাবাপন্ন লোকের মাধ্যমে সরব না হলো তা অচিরেই ধ্বংস হতে থাকবে। গ্রাম আর শহরের জীবন ব্যবস্থা যেমন তফাৎ আছে তেমনি নানা ধরনের বিভিন্ন অন্তরায়ও বিদ্যমান। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের রয়েছে নেশাক্তি। ইয়াবা গাঁজা হেরইন প্যাথেডিন বিভিন্ন প্রকারের মাদকরূপ মদও বিদ্যমান। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শহরের পথশিশুরা ড্যান্ডি নেশায় আসক্ত এমন খবর প্রকাশ হয়েছে শপথ পত্রিকায়।
শহরের অলি গলিতে পথ শিশুদের আনাগোনা এটা চিরচেনা পরিবেশ। এদের জীবনের নেই কোন পরিবারে ছকে বাঁধা নিয়ম কানন। তাই তাদের খেয়ালীপনা জীবনের কোন সীমা থাকে না। বর্তমান অপারাধের অনেকাংশের বুনিয়াদ এদের থেকে হয়ে থাকে। এদের ব্যবহার করে গড়ে উঠে লেবাসধারীরা সমাজের প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব।
এমন নেশার বস্তু মিলে যায় অতি সহজে সাধারণ হার্ডওয়ারের দোকান থেকে। যা সচরাচর মুচিরা এমনকি ফার্নিচার মেস্ত্রীরাও ব্যবহার করে থাকে। এর ব্যবহার প্রক্রিয়া বলে তা নতুনের মাঝে ছড়াতে চাই না।
প্রশাসনের বহুমুখী পদক্ষেপ এমন সকল নেশার ব্যাপকতা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পারে। যদিও এএসপি স্নিগ্ধা সরকার তেমন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কিশোরদের বিরুদ্ধে তৎপরতা ঘোষণা করেছেন। এজন্যে ওনাকে সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি। সকলের সম্মীলিত প্রচেষ্টায় যে কোন বাতিকা সমাজ থেকে দূর করা মোটেও কষ্টসাধ্য নয়।