সম্পাদকীয়
সকলে মোরা সকলের তরে পথ থেকে মোরা পরের তরে এর বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করাই হোক কমিউনিটি পুলিশিং এর মূল ¯েøাগান। সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন এবং আইনি সহযোগিতা নেওয়ার জন্য যে পদ্ধতি প্রশাসনিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই সেবা কমিউনিটির পুলিশিংব্যবস্থা। কমিউনিটি পুলিশের বাস্তবতা তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সমাজবদ্ধভাবে সকল প্রকার অনিয়মের বেড়াজাল থেকে মুক্ত রাখার প্রয়াস। এই কমিউনিটি পুলিশিং এর আয়োজন কমিউনিটি পুলিশিং এর যে দায়িত্ব এবং কর্তব্য তা ব্যাপক এবং বিস্তৃত। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শুধু যে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করবেন তা নয়। আঞ্চলিক পর্যায়ে সচেতন মহলের সম্পৃক্ততায় সামাজিক জীবনের সকল প্রকার বৈরী প্রভাবকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। ৩০ অক্টোবর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে কচুয়ায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত। সমগ্র বাংলাদেশ কমিউনিটি পুলিশিং দিবস পালিত হয়েছে। এক্ষেত্রে সমগ্র দেশের অভ্যন্তরে যে সকল নিত্যনৈমিত্তিক সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে সেসব বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে চুরি ছিনতাই ইভটিজিং ডাকাতি ধর্ষণ নারী ও শিশু নির্যাতন এমন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ব্যাধি থেকে জাতিকে রক্ষা করার বিভিন্ন সহযোগিতামূলক পদ্ধতি এবং আলোচনার সাপেক্ষে এলাকার সচেতন ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত রেখে প্রশাসনের সাথে সাধারণ জনগণের শাসন তৈরি করা কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। এতে করে সমাজের অভ্যন্তরে যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা কে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। এর সাথে সচেতন মহল দ্বারা যে সামাজিক সেবার উদ্দেশ্য সরকার প্রশাসনের সেই সচেতন মহলের মাঝে যদি সরিষায় ভূত থাকার মতো পরিস্থিতি হয় তাহলে তো আর সামাজিক নৃত্য নৈমিতিক সমস্যার সমাধান হবে না। বরঞ্চ এদের কনভার্ট করা তথ্য উপাত্ত প্রশাসনকে সঠিক উদ্দেশ্য থেকে সরিয়ে রাখার প্রবণতা ও পরিলক্ষিত হয়। সেই দিকটাও প্রশাসনকে আমলে নিতে হবে তবেই কমিউনিটি পুলিশিং এর আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে বলে সচেতন মহলের বিশ্বাস।