সম্পাদকীয়
সামাজিক দায়বদ্ধতা ব্যক্তি কেন্দ্রিক দায়বদ্ধতা পারিবারিক দায়বদ্ধতা সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার অভাব দেখা দিলে নতুন ঘটনার অবতারণা হয়। পরিতাপের বিষয় মানুষ সমাজবদ্ধ জীব নিশ্চয়ই মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা বর্তমান পৃথিবীতে তথা বাংলাদেশ বড় অভাব দেখা দিচ্ছে। মানুষের জীবন ব্যবস্থা বিভিন্ন চাহিদার মধ্যে ৬টি চাহিদা পরপর একান্তই জরুরী। পরিপূর্ণতা পেতে এই সমাজের মানুষগুলো পরিপূর্ণতা পাওয়ার জন্য সমাজবদ্ধ মানুষ বৃহৎ রাষ্ট্রীয় সমাজ কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে। রাষ্ট্রীয় সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন স্তরের জনসেবার জন্য বিভিন্ন দপ্তর সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সকল তথ্য রাজধানী তারপর বিভাগীয় জেলা এবং উপজেলা কেন্দ্রিক জনসেবায় কাজ করে বাংলাদেশের চিন্তাধারায় পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু মানবতাবোধ সহযোগিতা ও সহমর্মিতা সহনশীলতা একে অপরের প্রতি ধীরে ধীরে মুছে যেতে বসেছে। চিন্তাধারা প্রতিনিয়ত মানুষ মানুষের অসহায়ত্বের জীবন পরিচালনার অভ্যন্তরীণ কোনো খোঁজ নিতে চায় না। ২৩ মার্চ দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ পরিবার প্রধানের চিকিৎসার জন্য সন্তান বিক্রি করে ফেলা এই খবরটা প্রকাশ হয়েছে। এমনকি প্রশাসনও গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক এই বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে মায়ের কোলে সন্তান ফেরত দিয়েছে। একই দেশ যখন সমাজবদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে তখন বিশাল জনসংখ্যার প্রত্যেক মানুষকে সামাজিক সেবা দেওয়ার জন্য সরকার দপ্তর করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধ্যে জীবনমুখী নানা বৈচিত্রময় দুর্যোগপূর্ণ জীবনের চিত্র তুলে ধরে তালিকা করে সরকারিভাবে আর্থিক সেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া সরকার রেখেছে। কিন্তু সমাজকর্মী সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী এদের কিন্তু যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে দায়িত্বের ক্ষেত্রে সমাজের পড়তে পড়তে দায়িত্বশীল অবস্থা বাস্তবতার বড়ই অভাব। যদি অভাব না হতো তাহলে তার চিকিৎসার জন্য সন্তান বিক্রি করতে হত না। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে। কর্মরত আছে যদি নিয়মিত সরকারের আমলাতান্ত্রিক কর্ম সময়ের হিসাবে সমাজসেবার দায়িত্ব ভালো হতো তাহলে অবশ্যই এমন অসহায় পরিবারের খবর তথ্য উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে পৌঁছে যেত। বড়ই পরিতাপের বিষয় সন্তান বিক্রি করার ক্ষেত্রে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন সেই জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়ে কি ভূমিকা পালন করেছে সেটাও বুঝতে বাকি নেই। যার যে কাজ যে দপ্তরে যার যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য যাদের নিয়োজিত করা হয়েছে তাদের সে দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করলে রাষ্ট্রের সমাজ ব্যবস্থার অনেক দুর্বিষহ ঘটনা সমাধান হতো। এমন ঘটনা আর যেন না হয় সেদিকে সরকারের প্রশাসন এবং অধিদপ্তর বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলছে সচেতন মহল। এই মর্মান্তিক ঘটনা হৃদয়বিদারক। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য পড়তে না হয় শুনতে না হয় বলতে না হয় তাই ‘সকলে মোরা সকলের তরে প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’ এই প্রবাদ বাক্যের বাস্তবতা জনে জনে বিস্তার লাভ করুক।