সম্পাদকীয়
মানবজীবনে ষষ্ঠ চাহিদার নিরাপত্তা একটি। কিন্তু আইন-শৃংখলার ব্যাপক প্রসার ঘটলেও কেন জানি দেশের মধ্যে আইনের অবমাননাকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমন কোন দিন নেই যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়না কোন না কোন চুরি ডাকাতি খুন মাদক কারবারি অনৈতিক কর্মকান্ডের খবর। জেলাভিত্তিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ করে ১৯ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকা মাদক কারবারি এবং চুরি ছিনতাই এর খবর প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে এত সব অপরাধের ঘটনা প্রকাশ হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় কি অবস্থা আছে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই অনুমান করতে পারছেন। কেন জনগণ স্বাধীনতার এত বছর পর অপরাধপ্রবণতা দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এর দায় কার? দেশ এবং জনতা এই দুইটা মিলেই ভূখÐ একটি ভূখন্ডের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষার অনেকগুলো দিক রয়ে যায়। কিন্তু এতগুলো বছর পর এসে সমগ্র দেশের মানুষ কি দেখছে। দেশের উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন আমলাতন্ত্রের উন্নয়ন বলতে গেলে অনেক উন্নয়নের ফুলঝুরি শুনতে পাওয়া যায়। নৈতিকতার অবনতির পরিমাণ এত বেশি হয়ে পড়েছে যেন দেশের জনগণ একেবারেই নৈতিকতায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে যার আলোচনা প্রেক্ষাপট সকলেরই জানা। কিন্তু নৈতিক অবনতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের দেউলিয়াত্ব বাংলাদেশকে সর্বাঙ্গীনভাবে ঘিরে ধরেছে। প্রশাসনের আপ্রাণ চেষ্টা সরকারের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও কেন মানুষ নৈতিক দেউলিয়ায় শামিল হচ্ছে। এর কি কোন সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে? আজ আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে দেশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের কথা বলি উন্নয়নের নানা দিকের কথা বলি যা দৃশ্যমান। মানুষের নৈতিকতার অবনতি হয়েছে কেন। নৈতিকতার ক্ষেত্রে মানুষকে কিভাবে পরিবারটি করা যায় সেদিকে কারও নজর নেই বললেই চলে। যদি থাকতো তাহলে জাতি নৈতিকতার ক্ষেত্রে দেউলিয়া জাতি হিসেবে পরিগণিত হত না। তথ্য বিশ্লেষণ মানবিক চিন্তা ধারায় যারা সার্বক্ষণিক দেশের মঙ্গল কামনা করে তাদের নিয়ে তেমন সংকট পরিস্থিতি থেকে জাতিকে উত্তরণের জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া এযাবৎ কাল পর্যন্ত হয়েছে কি। বা কোন ব্যবস্থা নিলে এমন নৈতিক দেউলিয়ার পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করা যাবে। সেটা এখন সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এখনো সময় আছে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে নৈতিকতা দেউলিয়ার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করা সম্ভব। সে জন্য কি করণীয় তা অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত।