সম্পাদকীয়
মৃত্যু অবধারিত মৃত্যুকে যত দূরে রাখা হয় মৃত্যু ততই কাছে আরো কাছে ধরা দেয় নিমিষে। কারো কাছে ধরা দেয় চাপিয়ে কারো কাছে ধরা দেয় অনায়সে মৃত্যুর বহুমুখী বিবরণ রয়েছে সমগ্র পৃথিবীতে। মৃত্যুর সংজ্ঞা আজও সঠিক সংজ্ঞা দিতে পারেনি কেউ। কারণ কার কখন কোথায় কিভাবে মৃত্যু চলে আসবে তার হিসাব রাখা কখনো সম্ভব হবে না। কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু দায়ভার কেউ না কেউ নিতে হয়। ২৪ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে হাজীগঞ্জ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছে। তার মৃত্যু তাকে জায়গা পরিবর্তনের সুযোগ দিলে পৃথিবীর পরিবেশ পরিবার পরিজন স্ত্রী-সন্তান তাদের জীবনযাপন মা-বাবা সহ যারা পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত তাদের জীবনের পরিস্থিতি বর্তমান অবস্থা কি তা কল্পনা করাও সহজ নয়। তার পরিবার-পরিজনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে যথাসাধ্য সাহায্য করতে হবে তা না হলে এমন অসহায় পরিবারের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা কষ্টকর হবে। আত্মজীবনকে ভালোবাসি অন্যকে ভালবাসতে শিখি তবেই সকল সমস্যার সমাধান। সামাজিক সমাধান সবচেয়ে বড় সমাধান ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমাধানের তুলনাই হয়না। এমন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এই মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত প্রতিজনকে গুরুত্বের সহিত এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এমন অসহায় পরিবারের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। জীবনের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে জীবনটা চলে যায় তখন সে যুদ্ধ আর যুদ্ধ থাকেনা সেটা হয়ে যায় গৃহযুদ্ধ। যিনি পথপ্রান্তে জীবনযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে সংসার পরিচালনা করেন সে যুদ্ধ সকলেই করে গৃহযুদ্ধ সবক্ষেত্রে হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যেখানে জীবনের টিকে থাকার জন্য বহুমুখী লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদের উচিত যেকোনো কাজ যেকোনো সময় যেকোনো দিন নিজেদের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে ফলে চারদিকের সকল কিছুর উপরে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় যাবে।