দৈনিক শপথ রিপোর্ট
চাঁদপুরে নিবন্ধনিত সমিতির আর্থিক বছর সময়মত অডিট না হওয়া এবং অডিটে শিথিলতার কারণে প্রতারণার সুযোগ পাচ্ছে সমিতিগুলো। মূলত নিবন্ধিত সমিতি অডিট করতে যে পরিমান লোকবল প্রয়োজন সেতুলনায় লোকবল অপ্রতুল। যারা আছেন তারা অবৈধ সুবিধা নিয়ে অডিটে শিথিলতা দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে গোড়া কাটছে সমবায় সমিতির প্রকৃত কার্যক্রমের। অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
সমবায়গুলো নিবন্ধন নেয়ার পর যেভাবে তদারকি থাকার কথা তা করা সম্ভভ হচ্ছে না। সমিতি হারে জনবল না থাকায় অডিট, তদন্ত ও তদারকির অভাব পরিলক্ষিত হয়। যদিও অডিট করা হয় উৎকোচ নিয়ে দায়সারাভাবে পর্যবেক্ষণ করেন মাঠ পর্যায়ের সমবায় কর্মকর্তারা।
যেহেতু সমিতিগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেহেতু অডিট অন্তত ভালো ভাবে হওয়া উচিত বলে মনে করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী জালাল উদ্দীন। তিনি বলেন, মূলত অডিটে ফাঁক থাকায় প্রতারণার সুযোগ পাচ্ছে সমিতি পক্ষ। এক্ষেত্রে সরকারি দপ্তরের অবশ্যই ভালোভাবে এ বিভাগকে মনিটরিং করা প্রয়োজন।
অবশ্য চাঁদপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিব-উর-রহমান খান বললেন, আমাদের যে জনবল আছে তা দিয়ে কোনো মতে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা অনিয়ম করছেন তাদের বিভাগীয় শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
চাঁদপুর সমবায় অফিস সূত্র জানায়, চাঁদপুরের আট উপজেলায় ৬৩ জনবল থাকার কথা থাকলেও আছে ৬০জন। সমবায় সমিতি আবারও সক্রিয় করে তুলতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সমিতির সাথে সম্পৃক্তের আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বার জানিয়েছে সচেতন মহল।