সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ ব্যাপক উৎপাদনের জন্য মা ইলিশ সংরক্ষণের সময়কাল চলছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে সভা ও নৌ-র্যালি করা হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরালো হলে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। দেশের চাহিদা পূরণ হবে। তবে অক্টোবর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে থেমে নেই ইলিশ নিধন চাঁদপুরে ৩৬ ঘন্টায় ৬৫ জেলে আটক। এদের ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনা সাহস শক্তি সামর্থ্য নেই সরকারের নির্দেশিত সংরক্ষণ সময়ে মাছ ধরার। এদের পেছনে যে শক্তি কাজ করে সেই শক্তিতে আঘাত করতে না পারলে সার্বিকভাবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। আশ্রয় দাতাদের পেছনে রয়েছে কাদের হাত সেটাও তালাশ করতে হবে। তবেই পদক্ষেপ সফল হবে। সরকার জনগণের, দেশ জনগণের, জাতীয় সম্পদ জনগণের, তাই জাতীয় সম্পদ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় শব্দটার একটা সম্মান রয়েছে জাতীয় শব্দের প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে সেই হিসেবে জনগণের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে এখনো এই ইলিশ সম্পদ। বাংলাদেশের জনগণের সম্পদের উপার্জনের পরিমাণ বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে যতই সন্তোষজনক দেখানো হোক, বাস্তবে বেশিরভাগ মানুষ এই সন্তোষজনক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা একেবারেই সাধ্যের সামর্থের এবং অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নাগালের বাইরে রয়েছে। বড় পরিতাপের বিষয় হলো বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের জেলেরা মাছ ধরার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় আইন মানতে বাধ্য এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশের জেলেরা ও সোচ্চার। কিন্তু বাংলাদেশের জল সীমানায় ভারতের মায়ানমারের লোকেরা নিষিদ্ধ সময়ে জল সীমানায় ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যায়। সেটার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত না নাক করে দেশের জেলেদের মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য নিষিদ্ধ করা আত্মঘাতী নিয়ম-নীতির শামিল নয় কি? তাই বাংলাদেশের জেলেদের জন্য মা ইলিশ সংরক্ষণের যে সময় নির্ধারণ করা হয় সেই সময় বাংলাদেশের জল সীমান্তে ব্যাপক টহল পরিচালনা করা জরুরি। নিষিদ্ধ সময়ে অন্যান্য দেশের জেলেরা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে গেলে তো আর মা ইলিশ সংরক্ষণের পদ্ধতি অবলম্বন করে কি লাভ?