সম্পাদকীয়
যে কোনো খাতে সরকারের বরাদ্দ বিভিন্ন প্রকল্পের অধীন বাস্তবায়নের জন্য দেয়া হয়। কিন্তু এ সকল প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ এবং কার্যক্রম সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে সঠিক বাস্তবায়ন হয় না। কেন হয় না সেখানে রয়েছে অনেক বড় দুর্নীতির ছাপ। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকারের ব্যাপক কার্যক্রমের কারণে শিক্ষা শব্দটা বাংলাদেশের প্রতি ঘরে ঘরে জনে জনে পৌঁছে গেছে। যে হারে শিক্ষা শব্দটা জনে জনে পৌঁছেছে শিক্ষার ব্যবস্থাটা সেই হারে বাস্তবায়ন হয়নি। কেন বাস্তবায়ন হয়নি কি কারণে বাস্তবায়ন করেনি এর পিছনে কি রহস্য লুকায়িত সেটা যদি অন্বেষণ করা যায় তবেই শিক্ষার শব্দ যে গতিতে জনমনে পৌঁছেছে বাস্তবায়নেও সেই ভাবে পৌঁছানো যাবে। ৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক শপথ পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে শাহরাস্তিতে প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিল লক্ষাধিক টাকা নেপথ্যে কমিশন বাণিজ্য। কেন এমন সংবাদ শুনতে হবে যে দেশের সরকার এককভাবে প্রায় ১৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনায় সময়ে পেল এটা দেশের জনগণ মাত্রই প্রশ্ন করতেই পারে। শিক্ষার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার অনুষ্ঠান বক্তব্য আলোচনা যত প্রকারের প্রচারণার প্রয়োজন সকল প্রচারণায় হয়েছে কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এত বড় ফারাক এটা কি জাতির সাথে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষণ নাকি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার পায়তারা চলছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাষ্ট্রীয় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক ধরনের নামে মাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে। প্রত্যেকটা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যাবে প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা কি পাঠ গ্রহণ করে আসছে সেটা শিক্ষার্থী এবং পরিবার ছাড়া শিক্ষা কেন্দ্রিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আলোচনায় সেমিনারে বক্তব্যে যেমন উপস্থাপন করেন বাস্তবে শিক্ষার প্রয়োগ শিক্ষার বাস্তবায়ন একেবারেই নরবড়ে পরিস্থিতি রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট পরিমাণ জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে হয়েছে ব্যাপক পরিমাণ অনিয়মে বেরাজাল। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন প্রধান শিক্ষক থাকছে না তখন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বহন করতে হয়। যিনি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তিনি আছেন শিক্ষক হিসাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠ দান করাবেন। প্রধান শিক্ষক তার যে দায়িত্ব যে কর্তব্য সেই কাজটা শ্রেণী শিক্ষককে করতে হচ্ছে যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে পাঠদানের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এটি একদিন নয় দুই দিন নয় এমনও প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ১৭ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। তাহলে সে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার প্রসার প্রসারের যেই সেমিনার আলোচনা বক্তব্য প্রপাগান্ডা হয়েছে সেই হিসেবে শিক্ষার ভিত্তি শিক্ষার রস শিক্ষার নির্যাস ওই প্রতিষ্ঠানে সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি পরিমান শিক্ষার রস চঞ্চিত হয়েছে তা বরাবরই প্রশ্নের সম্মুখীন নয় কি। যেখানে প্রধান শিক্ষক মাসে দুবার সরকারি শিক্ষা অফিসে যাবেন বর্তমান সময়ে প্রধান শিক্ষকগণের এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণকে প্রতিনিয়তই উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি দূরে রাখা হয় সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ কোনোভাবেই উদ্দেশ্য মাফিক শিক্ষার বাস্তবায়ন হবে না। তাই জাতিকে বাঁচাতে হলে ধ্বংসের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে এখনই সময় এ সকল ঘাটতি গুলোকে পূরণ করতে হবে। একটি দেশের জাতির শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্থায়িত্ব দেয়া ছাড়া কোন পথ নেই।