সম্পাদকীয়
সমগ্র পৃথিবী প্রাকৃতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রাকৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি প্রত্যেকটি বস্তু এক একটি পাঠ। সমগ্র বিষয়বস্তুগুলো একটি পাঠশালার অধীন। এ পাঠশালার শিক্ষার্থী সমগ্র মানুষ। বিশ্ব পাঠশালার শিক্ষার্থী মানুষ সেই মানুষের কাঙ্খিত অনাকাঙ্খিত মনোবাসনার সমষ্টিগতভাবে সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখÐে বিভক্ত হয়ে আছে। কিন্তু শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর যে যে ভূখÐ থাকুক তা থেকে পিছিয়ে থাকা চলবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম ও একটি ভূখÐ। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধর্মীয় সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। কেন জানি বর্তমান বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতিকে বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একান্ত ধর্মীয় শিক্ষাকে বিভিন্ন শব্দের আবরণে মূল শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আলাদা করার চেষ্টা চলছে। সে অনেক কথা আর দুর্নীতি অনিয়ম দেশের প্রতিটি পরতে পরতে তো লেগেই রয়েছে। পরিতাপের বিষয় হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের অব্যবহৃত। ২৭ জুলাই দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে চাঁদপুরে ১ হাজার ১শ ৫৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে আসছে না কোটি কোটি টাকার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এতো আয়োজন শুধু শিক্ষা খাতকে সঠিক স্তরে পৌঁছনোর প্রচেষ্টা। মাতৃ এবং গৃহ শিক্ষার পর পৃথিবীতে প্রাথমিক শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমগ্র জাতির জীবন গঠনের প্রধান ব্যবস্থাপনা। আন্তরিকতার অভাবে শিক্ষা ব্যাবস্থাপনায় যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিতে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। কারণ সরকার যাদের অন্তত বেতন ভাতাদির নিশ্চিতরূপে এনে দিয়েছে তাদের উচিৎ ছিলো সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সর্ব্বোচ্ছ ব্যক্তিত্ববোধের মূল্যায়ন করা উচিৎ ছিলো এমন পদক্ষেপকে পদদলিত করা কোনভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়। এছাড়াও শিশু সংখ্যার চেয়ে এবং আয়তনের অপেক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেশি হওয়ায় প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম ফলে শিক্ষকদের পাঠদানে অনিহা। এমন পরিবেশের কারণে শিক্ষকদের অনৈতিক মনোভাবের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়াও এমন জাতি গঠনের নায়কদের কর্মফাঁকির মেশিন লাগিয়ে ও কর্তব্য ফাঁকি বন্ধ হয়নি। তবে এই বিষয়গুলো হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে এবং প্রতিষ্টানের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের বেড়াজাল এবং দলিয়করণের কারণ স্পষ্ট। যা রাষ্ট্র সরকারের অপতৎপরতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সড়ব গতিতে রাখার মানসিকতা রয়েছে এমন অনেক লোক সমাজ কাঠামোয় রয়েছে কিন্তু আত্মীয়করণ দলিয়করণ এ সকল একরোখা পদক্ষেপে আজ এই র্পযায়ে এসে পৌঁছেছে। তাহলে এমন অতিব জনগুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরের এমন পরিস্থিতি জাতির জন্য অশনি সংকেত নয় কি? জাতিকে ¯েøা পয়জনিং এর মাধ্যমে মূলে কুঠারাঘাত করা হচ্ছে। দেশের সুশীল সমাজ এই বিষয়ে দৃঢ় উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছে।