সম্পাদকীয়
বেশিরভাগ মানুষ দৈহিক বৈভবের উপর বিশ্বাসী বলতে বাহ্যিক পরিস্থিতির উপর একান্তভাবে আগ্রহী হয়ে থেকে। মানুষের জাগতিক সকল কাজকর্ম জীবন জীবীকাকে যার যার অবস্থানের ক্ষেত্রে তার তার কর্ম পদ্ধতি প্রচার প্রসার ইত্যাদি ইত্যাদি যা মানুষকে সম্পূর্ণ মানুষ হতে দেয়। এটাই বর্তমান চলমান প্রক্রিয়া সমগ্র পৃথিবী এটার প্রচলনায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। এ বিষয়টি বলার কারণ রয়েছে, প্রতি প্রত্যেকটি মানুষ ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজ্য পরিচালক রাজ্য পরিচালনার জন্য শুধু নৈতিক চিন্তা চেতনার প্রয়োজন। এই নৈতিক চিন্তা চেতনাটা বিভিন্নভাবে মানুষ অর্জন করে থাকে। এখানে শিক্ষা বলতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মূল বিষয় নয়। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা দৃশ্যমান তা হল সাজুগুজু ভাবে মানুষ অপরাধ প্রবণতাটাকে একান্ত নিজের করে নিয়েছে। অপরাধ প্রবণ মানসিকতা এক কেন্দ্রিক নয় পারিপার্শ্বিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন আবরণে অপরাধ প্রবণ জীবন যাপনের মধ্যে বিরাজমান রয়েছে। এই অপরাধ প্রবন জীবন যাপন মানুষকে আগ্রাসী করে তুলছে। আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বিভিন্ন মানুষের জীবন পরিচালনা প্রক্রিয়াতে প্রকাশ হয়ে থাকে। যদি সেখানে নৈতিক চিন্তা চেতনার প্রভাব না থাকে তবেই যত বিপত্তি। যাদের দ্বারা জাতি বিবেক সম্পন্ন হবে নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন হবে তারাই যখন অনৈতিক পথে অর্থাৎ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না কিভাবে মানুষ্য সমাজ ব্যবস্থা সর্বাঙ্গীন সুন্দর হবে। যার থেকে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নৈতিক বোধ সম্পন্ন মানুষ হবে সেই যদি অনৈতিক দায়িত্বহীন কাজ করবে তাহলে কিভাবে শিক্ষা এবং নৈতিক এর সমন্বয় ঘটবে। মূলকথা হলো নৈতিকতা মানুষকে যেই পরিবেশ দেয় সেটার একটা সাজ একটা পোশাক হলেও শিক্ষা। তাই এমন পরিবেশ পরিস্থিতি থেকে দায়িত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসতে হবে। একজন সাধারণ মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির অধীনে বর্তমান পৃথিবীর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের কারণে যেতে হয়। তার দ্বারস্থ হতে হয় সেটা ছিল সাধারণ মানুষকে রাষ্ট্রীয় কাজে বিভিন্ন নিয়ম নীতির অধীনে তার কাজকে সহজলভ্য করে দেয়া। যার কাছে একজন সাধারণ মানুষ যায় নৈতিক চিন্তা চেতনার দিক থেকে নৈতিক চিন্তা চেতনাকে ব্যবহার করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত ব্যক্তিকে সাধারণ জনগণের দেয়া বিভিন্নভাবে ভ্যাট বা কর যেটাই বলে না কেন সকল বিষয়ে থেকে যে আগত অর্থ থেকে শিক্ষিত ব্যক্তিকে একটা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের দেয়া অর্থের যোগান আসে তা থেকে বেতন দিয়ে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করার জন্য। নৈতিক চিন্তা চেতনা এখানে শিক্ষিত ব্যক্তির নৈতিক চিন্তা বোধসম্পন্ন হওয়া এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই নৈতিকতার বিষয়টা যেন দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে। আর সাধারণ মানুষের কষ্টের বিশেষ করে তাদেরকে কুণ্ঠাসা হয়ে থাকতে হয়। এমন পরিবেশ পরিস্থিতি সমগ্র মানুষ্য পরিবেশে বিরাজমান নৈতিকতার বলয়ে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ মানুষ হিসেবে পরিগণিত হলেও সেই মানুষদের অনৈতিক চিন্তা চেতনার কারণে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমগ্র মানবজাতিকে এমন পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসা যেন একেবারেই বিভিন্ন দপ্তর থেকে কোনভাবেই সম্ভবপর হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এমন বিষয়কে গুরুত্বের সহিত দেখে সংশোধন মূলক ব্যবস্থা নেবে বলে সচেতন মহলের দাবি।